প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফসল বীমা যোজনা চালু করেছিলেন। বর্তমানে এই যোজনার সময়সীমা আর এক বছর বাড়ানো হল।
ফসল বীমা যোজনা বরাদ্দ টাকা :
ফসল বীমা যোজনা আসলে একটি শস্য বীমা প্রকল্প। ১লা জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন ফসল বীমা যোজনার ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বরাদ্দ টাকা ৬৯,৫১৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। এই টাকা ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ সময়ের মধ্যে খরচা করা হবে।
Indian Citizen Card : সিটিজেন কার্ড না বানালে কি হবে? এই কার্ড কি কাজে লাগবে?
দীর্ঘদিন ধরে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে কৃষকরা ফসলের ন্যূনতম দামের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় খুশির খবর দিলেন নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন ফসল বীমা যোজনা ২০২৬ সাল পর্যন্ত চলবে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসল নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে কৃষকদের সাহায্য করবে এই স্কিম। এই স্কিমটিকে বাস্তবায়িত করার জন্য উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন পড়ে। তাই বরাদ্দ ফান্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফান্ড ফর ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি’। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯টি রাজ্যে এই প্রযুক্তি অবলম্বন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অসম, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, কর্ণাটক ইত্যাদি।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প কবে কোথায় বসবে? দেখুন মোবাইলে।
পহেলা জানুয়ারিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হওয়ার পরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্ববর্তী নাম টুইটার) নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেছেন, এই সরকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে নানান রকম উদ্যোগ নিয়ে থাকে, কৃষকরা দেশের প্রতিটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য যে পরিশ্রম করে তাকেও সম্মান জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেছেন- ২০২৫ সালের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকটা কৃষকদের উদ্দেশ্যে কিছু বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উৎসর্গ করা হলো।
রাসায়নিক সারের জন্য বরাদ্দ টাকা :
ডিআই অ্যামোনিয়াম ফসফেট সারের ৫০ কেজি বস্তার দাম ছিল ১৩৫০ টাকা। এই দাম বাড়ার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু সরকার নিশ্চিত করেছে যে এই রাসায়নিক সারের দাম বাড়বে না। এর জন্য সরকার ৩৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যাতে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতিটা কৃষক এই সার আগের দামে কিনতে পারেন।
ATM থেকে টাকা তোলার সীমা পাল্টে গেল নতুন বছরে। জানুন কত তুলতে পারবেন?
কেন্দ্রের বিশিষ্ট মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন -অন্যান্য দেশে এই সারের দাম ৩০০০ টাকারও বেশি কিন্তু আমাদের দেশে সরকার এই সার সস্তায় পাওয়ার জন্য কৃষকদেরকে ভর্তুকি দিয়ে থাকে।