ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
সাধারণ মানুষ কোন ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাইলে বিশেষ কিছু নিয়ম মানতে হয় ব্যাংকগুলিকে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক তথা RBI, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ব্যাংকের লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন নিয়ম প্রয়োগ করল। এই নিয়মগুলি এর উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের কে ভালোভাবে পরিষেবা প্রদান করা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরো মজবুত করা।
সাধারণ ব্যক্তি যে কোন ব্যাংকে গিয়ে গৃহঋণ, গাড়ি ঋণ বা ব্যক্তিগত ঋণ প্রভৃতি নিতে চাইলে এই দশটি নিয়ম প্রযোজ্য হবে। আসুন এই ১০টি নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক –
১) ক্রেডিট তথ্য আপডেট
প্রতি 15 দিনে ক্রেডিট ব্যুরোতে গ্রাহকদের তথ্য আপডেট করা বাধ্যতামূলক। ২০২৫ এর জানুয়ারি থেকে ব্যাংক এবং NBFC কে ১৫ দিন অন্তর লোনের সমস্ত তথ্য পাঠাতে হবে। বর্তমানে মাসে একবার পাঠানো হয়।
সরকারি স্কুল গুলি মার্জ করা হবে, ছাত্র-ছাত্রীর অভাবে। বন্ধ হবে একাধিক স্কুল।
এই তথ্য আপডেট করার ফলে লোন গ্রহণকারীদের ক্রেডিট ইতিহাস আরো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে নির্দিষ্ট সংস্থা। একজন ব্যক্তি একাধিক ব্যাংক থেকে একাধিক ঋণ নিতে পারবেন না, কারণ ডিফল্ট পরিস্থিতি দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ব্যাংক গুলিকে ঝুঁকি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে সহায়তা করবে।
২) ডিজিটাল ঋণের সুবিধা দিতে হবে
রিজার্ভ ব্যাংক সমস্ত ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে ডিজিটাল ঋণের সুবিধা প্রদান করার জন্য। ডিজিটালাইজেশন এর যুগে যেন মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই লোনের জন্য আবেদন করার ব্যবস্থা করতে হবে, ডিজিটাল কেওয়াইসি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে, লোনের অনুমোদন এবং বিতরণ প্রক্রিয়াতে ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
PM Kishan Update : পিএম কিষানের টাকা ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার হতে পারে।
৩) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা
২০২৫ সাল থেকে রেপো রেট কমানোর একটি সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে ব্যাংক গুলি লোনের সুদের হার ও কমাতে পারে।
সুদের পরিমাণ কত হতে পারে?
ঋণগ্রহীতার সিভিল স্কোর এর উপর সুদের পরিমাণ নির্ভর করবে।
১) গৃহ লোনের জন্য সুদের হার ৮-৮.৫% পর্যন্ত হতে পারে।
২) গাড়ির লোনে সুদের হার ৭-৭.৫% হতে পারে।
৩) ব্যক্তিগত লোনে সুদের হার ১০-১১% হতে পারে।
৪) ঋণ প্রসেসিং ফি এর ওপর সীমা নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক।
৫) নির্দিষ্ট ব্যাংক এবং NBFC মিলিতভাবে কো-লেন্ডিং মডেলে ঋণ প্রদান করবে।
বাংলা শস্য বিমার টাকা দেওয়া শুরু হল। ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
৬) কৃষক ক্রেডিট কার্ড এর ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার সীমা তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হবে নতুন বছরে।
৭) UPI এর মাধ্যমে ঋণের ইএমআই প্রদান করার সীমা বৃদ্ধি করা হবে।
৮) সিভিল স্কোর গণনার জন্য নতুন মানদন্ড প্রয়োগ করা হবে।
৯) পেপারলেস প্রক্রিয়াতে যতটা সম্ভব কাজ সারতে হবে।
১০) MSME ঋণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল কেওয়াইসি এবং গ্যারান্টি কভার বৃদ্ধি করা হবে।
Post Office e-kyc : ৬ জানুয়ারি থেকে আধার যাচাই না করে লেনদেন করা যাবেনা পোস্ট অফিসে।