লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম ফিলাপ
আগামীকাল অর্থাৎ ২৪ শে জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বসতে চলেছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। এই ক্যাম্পে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য কিভাবে আবেদন করতে পারবেন? লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সার্থকতা :
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত প্রকল্পগুলির মধ্যে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সর্বাধিক জনপ্রিয়। বলাবাহুল্য প্রশাসনিক দলের ভোট বাড়াতেও যথেষ্ট সাহায্য করেছে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের অনুকরণে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও মহিলাদের জন্য নানান প্রকল্প চালু হয়েছে।
আধার কার্ড আপডেট নিয়ে UIDAI এর বড় ঘোষণা। শেষ তারিখ ১৪ই জুন ২০২৫।
কারা আবেদন করার যোগ্য?
১)লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম ফিলাপ করার জন্য, আবেদনকারী কে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) রাজ্যের ভেতরকার যেকোনো একটি ব্যাংকে আবেদনকারীর স্বতন্ত্র নামে একটি সেভিংস একাউন্ট থাকতে হবে।
৩) তপশিলি জাতি বা উপজাতির মহিলাদের ক্ষেত্রে কাস্ট সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৪) একমাত্র মহিলারাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। তাদের বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম ফিলাপ করতে কি কি ডকুমেন্ট তৈরি রাখবেন?
১) আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং বয়সের প্রমাণপত্র অর্থাৎ আধার কার্ড থাকতে হবে।
২) আবেদনকারীর স্বতন্ত্র একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ব্যাংকের শাখা পশ্চিমবঙ্গের ভেতরে থাকতে হবে।
৩) ব্যাংকের একাউন্টের সাথে আধার কার্ডের লিংক থাকতে হবে। অর্থাৎ কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করে রাখতে হবে। আধার কার্ড এবং ব্যাংক একাউন্ট এর সমস্ত নথিপত্র মিলতে হবে, যেমন নামের বানান, ঠিকানা ইত্যাদি। (জয়েন্ট একাউন্টে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে না)
Sashya Bima Update : ৩১শে জানুয়ারি শেষ তারিখ, কৃষকদের জন্য বিরাট আপডেট।
৪) তপশিলি জাতি বা উপজাতির মহিলাদের ক্ষেত্রে কাস্ট সার্টিফিকেট বা জাতিগত শংসাপত্র থাকা বাঞ্ছনীয়।
৫) স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে আবেদনকারীর নাম থাকতে হবে। নিজস্ব নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলেও চলবে অন্য কারোর কার্ডের মধ্যে তার নামটি নথিভুক্ত থাকলেই চলবে।
৬)পাসপোর্ট সাইজ এক কপি ফটো।
আবেদন কিভাবে করতে হবে?
লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম ফিলাপ অনলাইনে করা যায় না।
১) দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করা যাবে। এই ক্যাম্প বসতে চলেছে ২০২৫ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ক্যাম্পে আবেদন করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে চলে যান। সেখানে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম নিয়ে ফিলাপ করে আবার ওখানেই জমা দিন।
২) এছাড়াও পৌরসভা অফিস, এসডিও অফিস, বিডিও অফিস প্রভৃতি জায়গায় এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে।
বাংলার পঞ্চায়েত অ্যাপ চালু করা হলো। কি কি সুবিধা পাবেন?
লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম ফিলাপ সম্পূর্ণ হলে অনলাইনে এই প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন অনলাইন ওয়েবসাইটটি হল – এখানে ক্লিক করুন।
কত টাকা অর্থ সাহায্য পাবেন?
১) বর্তমানে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন।
২) তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন।
কিন্তু ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই টাকা বেড়ে ১৫০০ এবং ২০০০ হতে পারে বলেই আশা করা যাচ্ছে।
প্যান কার্ডের নতুন নিয়মগুলি ভাঙলে হতে পারে ১০,০০০ টাকা জরিমানা।