আধার কার্ডের নতুন নিয়ম
আধার কার্ড নিয়ে একটি নতুন আপডেট সামনে এসেছে। কি সেই আপডেট, আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানবো।
আধার কার্ডের নতুন নিয়ম কি?
আধার কার্ডের নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। এই নিয়মটি হল আধার ফেশ অথেন্টিকেশন। এই সিস্টেমটি আধার কার্ডের ব্যবস্থাকে আরও বেশি সহজ ও নিরাপদ করে তুলবে।
এই নতুন নিয়মে, আধার কার্ড বহন করতে হবে না, কোন পরিচয় পত্র ছাড়াই মুখ স্ক্যান করলেই কাজ হয়ে যাবে।
LPG ATM Service : গ্যাস সিলিন্ডার এবার থেকে নিজেই ভরতে পারবেন ATM থেকে।
ফেস অথেন্টিকেশন কিভাবে কাজ করবে?
ফেস অথেন্টিকেশন এমন একটি উন্নত প্রযুক্তি, যার সাহায্যে মুখ ক্যামেরাতে স্ক্যান করলেই ব্যক্তির পরিচয় জানা যাবে। বায়োমেট্রিক ডাটার সাহায্যে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
আধার কার্ডের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি চালু হওয়ায়, কোন কাজ করতে যাওয়ার সময় ওটিপি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিস বা চোখ স্ক্যান করার ঝামেলা মুক্ত হবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI এবং উন্নত বায়োমেট্রিক সিস্টেমের সাহায্যে এই কাজ হবে।
পিএম কিষাণ যোজনার টাকা আটকে যাবে এই কাজ না করলে।
এই প্রযুক্তিতে কি লাভ হবে?
১) পেপারলেস ওয়ার্ক কমে যাবে। ব্যাংকের বিভিন্ন কাজ, হোটেল বুকিং করা থেকে শুরু করে নতুন সিম কেনা বা মোবাইল সম্বন্ধীয় যেকোনো কাজ খুব সহজেই করা যাবে এই প্রযুক্তিতে। কাগজপত্র বহন করতে হবে না, ক্যামেরার সামনে মুখ স্ক্যান করলেই পরিচয় নিশ্চিত হয়ে যাবে।
২) ফেস অথেন্টিকেশন এর ফলে যাচাই পদ্ধতি আরও নিরাপদ হবে। প্রতারকরা ভুল পরিচয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করার সুযোগ হারাবে। যেহেতু প্রতিটি মানুষের মুখের গঠন এবং আইরিস আলাদা হয় সেক্ষেত্রে প্রতারণা করা অসম্ভব হবে।
৩) এই ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন নিরক্ষর ব্যক্তিরা। প্রবীণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অনেক সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলতেব্যবস্থায়এছাড়াও নিরক্ষর ব্যক্তিরা ওটিপি দিতে পারেন না, এই সমস্ত ঝামেলা মুক্ত হবে ফেস অথেন্টিকেশনে।
৪) যেহেতু ভারতের নাগরিক হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকত্বের প্রমাণ হলো আধার কার্ড, সেহেতু বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি পরিষেবাতেও অনেক সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ।
৫) আধার কার্ড সঙ্গে বহন করতে হবে না। এই নতুন আপডেট এর ফলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই নিজে থেকেই পরিচয় যাচাই হয়ে যাবে।
৬) এই ফেস অথেন্টিকেশন এর ফলে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গড়ার লক্ষ্যে আর এক কদম এগিয়ে যাবে ভারত।
WB Budget 2025 : বাংলার বাড়ির জন্য ৯,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। আর কোন প্রকল্পে কত টাকা দেবে রাজ্য?