পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ওপরে নতুন নির্দেশিকা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানি :
পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগের উপযুক্ত পদ তৈরি করে, রাজ্যগুলিকে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন চালানো থেকে শুরু করে, রিহা রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম মেনে শিক্ষক নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে নির্দেশ দিয়েছেন সুধাংশু ধুলিয়া ও কে বিনোদের ডিভিশন বেঞ্চ।
ভোটার কার্ডের সাথে আধার লিংক সবাইকে করতে হবে। নতুন নিয়ম আসছে।
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের স্থায়ী করার নির্দেশ :
এই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক যারা কর্মরত রয়েছেন দীর্ঘকাল ধরে, তাদের যোগ্যতার নিরিখে চাকরিতে স্থায়ী করতে হবে এবং বেতনের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১২ সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে :
এই মামলার যিনি আবেদন করেন অর্থাৎ গৌরাঙ্গ দাস তিনি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে অনেক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন, তাদের স্থায়ী হওয়ার সুযোগ এসেছে এবং তারা স্থায়ী পদের বেতনও পাবেন। এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি আদালতের রায় দেওয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে।
Ration Card Rules : দুমাস রেশন না নিলেই বাতিল হবে রেশন কার্ড।
শিক্ষকদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে :
বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের যারা শিক্ষক রয়েছেন তাদের যোগ্যতা যাচাইয়ের পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে এসে সমস্ত শিক্ষকদের স্থায়ীভাবে যুক্ত করা হবে। তাদের আগের চাকরির অভিজ্ঞতা আর কোন কাজে লাগবে না, একথা উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে অনেক বছর ধরে যারা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন, এমন বয়স্ক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় দেওয়া হবে।
এই যোগ্যতা যাচাইয়ের কমিটিতে কারা থাকবেন?
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের যোগ্যতা যাচাইয়ের কমিটিতে কারা থাকবেন সেটাও ঠিক করে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি। এই কমেডি তে থাকবেন রাজ্যের শিক্ষা সচিব, প্রতিবন্ধী কমিশনার, RCI এর এক প্রতিনিধি। এছাড়াও যদি কোন রাজ্যে প্রতিবন্ধী কমিশনারের পদটি ফাঁকা থাকে অর্থাৎ সেই পদে কেউ কর্মরত না থাকে, তাহলে সেই জায়গায় রাজ্যের আইন সচিবও থাকতে এই কমিটিতে।
উজ্জ্বলা যোজনা ২.০ চলে এলো। আরো কম দামে পাবেন রান্নার গ্যাস।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়ার সংখ্যা সব থেকে বেশি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি।