প্রতিবছরের মতো এই বছরেও গোটা নভেম্বর মাস জুড়ে চলছিল বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার লাইফ সার্টিফিকেট জমা নেওয়ার কাজ। গোটা পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় যে এই কাজ হচ্ছে এমনটা নয়, তবে পূর্ব বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলায় গোটা নভেম্বর মাসজুড়ে জমা নেওয়া হয়েছে এই সমস্ত ভাতার নথিপত্র।
বার্ধক্য ভাতায় এই নথিপত্র জমা দেওয়া কেন জরুরি?
বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে প্রতিবছর এই সময় উপভোক্তার সমস্ত নথিপত্র নিয়ে সরকারি অফিসে জমা করতে হয়। কারণ –
১) উপভোক্তা আদেও বেঁচে আছেন কিনা,
২) উপভোক্তা করে অন্যত্র চলে গেছেন কিনা,
৩) উপভোক্তার নামে অন্য কেউ এই ভাতার সুবিধা ভোগ করছেন কিনা প্রভৃতি বিষয় যাচাই করার জন্য এই নথিপত্রগুলি ওরফে লাইফ সার্টিফিকেট জমা নেওয়া হয়।
কোথায় জমা দেবেন?
পৌরসভা এলাকায় বাড়ি হলে পৌরসভা অফিস বা মিউনিসিপ্যালিটি অফিস, এসডিও অফিস, সমাজকল্যাণ দপ্তর এবং পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি হলে বিডিও অফিসে গিয়ে খোঁজ নিন লাইফ সার্টিফিকেট জমা নেওয়া হচ্ছে কিনা। যদি জমা দিতে বলে তাহলে জমা করুন।
কী কী নথিপত্র নিয়ে যাবেন?
বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে
•ভোটার কার্ড
•আধার কার্ড
•এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ফটো
•ব্যাংকের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স
•রেশন কার্ড
এগুলি ছাড়াও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট এবং প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট সাথে নিয়ে যেতে হবে। যিনি উপভোক্তা অর্থাৎ যিনি ভাতা পান তাকে যেতে হবে তার বদলে অন্য কেউ গেলে চলবে না।
কতদিন জমা নেওয়া হবে?
নভেম্বর অব্দি জমা নেওয়ার সময় ছিল কিন্তু সম্প্রতি এই সময় বাড়িয়ে ডিসেম্বরে ১০ তারিখ করা হয়েছিল কিন্তু এটি বাধ্যতামূলক নয়। গোটা ডিসেম্বর মাস জুড়েই এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা নেওয়ার কাজ চলবে।
জমা না দিলে কি হবে?
প্রতিবছর এই সময়ে নথিপত্র গুলি জমা নেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ভাতগুলিকে চালু রাখা। যদি এ নথিপত্রগুলি আপনি জমা না দেন সে ক্ষেত্রে পরের বছর থেকে ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।
বাংলা আবাস যোজনা ক্যাম্প কবে কোথায় হবে? ক্যাম্পে না গেলেই নাম বাদ যাবে লিস্ট থেকে।
বাংলা শস্য বীমার স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করবেন? টাকা পাবেন কিনা দেখে নিন।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের দরকার নেই। সব প্রকল্পের জন্য আবেদন করুন এইখানে।