বাচ্চার প্যান কার্ড
অনেকেই মনে করেন বাচ্চাদের প্যান কার্ড বানানো যায় না। এটি আসলে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে নাবালক বা নাবালিকারও প্যান কার্ড বানানো যায় এবং সেটি নানান কাজে ব্যবহার করতে পারবেন তারা।
প্যান কার্ড কেন জরুরী?
অনেক ক্ষেত্রেই এখন দেখা যায় বাচ্চারা নানান রকম ইনকামের সাথে যুক্ত। প্যান কার্ড আসলে পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট নাম্বার। বাচ্চার প্যান কার্ডের সাহায্যেই তার অর্জিত অর্থের হিসাব রাখতে পারবে আয়কর দপ্তর। আয়কর বিভাগ আইন ১৬০ ধারা অনুযায়ী একজন বাচ্চার প্যান কার্ড থাকতেই পারে। নানান কাজে সেটি ব্যবহার করা যাবে।
১৬ দফা নির্দেশিকা প্রকাশ করল রাজ্য। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের টাকা পাওয়া আরও কঠিন হলো।
বাচ্চার প্যান কী কী কাজে লাগে?
১) এখনকার অনেকবার চাই কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে টাকা ইনকাম করে। কেউ বা অভিনেতা অভিনেত্রী, কেউ নাচ গান করে, কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করে নানান ক্ষেত্রে ইনকামের জন্য যে ট্যাক্স দিতে হয় সরকারকে সেই ক্ষেত্রে বাচ্চার প্যান কার্ড থাকা জরুরী।
২) ব্যাংকে নাবালক বা নাবালিকাদের অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে প্যান কার্ড প্রয়োজন পড়ে। যদিও এটা বাধ্যতামূলক নয় কিন্তু থাকলে খুবই ভালো হয়।
৩) অনেকেই শিশুদের নামে বীমা স্কিম করে থাকেন এক্ষেত্রে শিশুদের প্যান কার্ড জরুরী।
সিনিয়র সিটিজেন কার্ডে অজস্র সুবিধা। ট্রেন, বাসের টিকিট সহ সুদের হার সবেতেই আকর্ষণীয় ছাড়।
কিভাবে আপনার বাচ্চার প্যান কার্ড তৈরি করবেন?
যেভাবে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা মহিলার প্যান কার্ড তৈরি করা হয়, সেভাবেই বাচ্চার প্যান কার্ড তৈরি করা যাবে। প্রথমে চলে যেতে হবে NSDL এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। অনলাইনে প্যান কার্ড বানানোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি হল – এখানে ক্লিক করুন। সেখানে গিয়ে প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে প্যান কার্ড হাতে পাবেন। যদিও দু’ঘণ্টার মধ্যে প্যান কার্ডের সফট কপি পাওয়া যেতে পারে।
আবেদন করার সময় কী নথিপত্র লাগবে?
বাচ্চার প্যান কার্ড তৈরি করার সময় অভিভাবক বা অভিভাবিকার ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি নথিপত্রের প্রয়োজন পড়ে এবং বাচ্চার স্থায়ী ঠিকানার জন্য নথিপত্র দিতে হয়।