বাংলা আবাস যোজনার টাকা কবে ঢুকবে?
যে টাকা পাওয়ার জন্য প্রায় ১২ লক্ষ পরিবার অপেক্ষা করছেন সেই টাকা কবে ঢুকবে? ঠিক যেমনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন তেমনটি করলেন। ১৫ই ডিসেম্বর প্রতিটি জেলায় জেলায় পৌছে গেল বাংলা আবাস যোজনার টাকা। কিন্তু এইটা কার এখনো মানুষের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছায়নি।
সবচেয়ে বড় আপডেট : ‘বাংলার বাড়ি’ বা বাংলার আবাস যোজনা এখন প্রতিটি রাজ্যের কাছে একটি দৃষ্টান্ত স্বরূপ হয়ে উঠেছে। কারণ এর আগে অন্য কোন রাজ্যের কোষাগার থেকে এত পরিমান অর্থ ব্যয় করেনি রাজ্য সরকাররা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টাতে বাধ্য রাজ্য সরকার কারণ এর আগে ৬০% টাকা দিত কেন্দ্র সরকার এবং ৪০% টাকা দিত রাজ্য সরকার।
Property Tax : ২৩ ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়ম চালু। বাড়িঘর ও সম্পত্তির কর দিতে হবে অনলাইনে।
গত ২০২২ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা দিতে নারাজ মোদি। এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের কোষাগার থেকেই প্রায় ১২ লক্ষ পরিবারকে অর্থাৎ ৫০ লক্ষ মানুষকে পাকা বাড়ি করে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন।
দুর্নীতি রোধ করতে বড় পদক্ষেপ :
রাজ্যে ঘটে যাওয়া সম্প্রতি ট্যাব কেলেঙ্কারির পর থেকে রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসেছে। আবাস যোজনার ক্ষেত্রে নানান সময় নানান রকম সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামের পঞ্চায়েতে সরকারি আধিকারিকরা, ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রতিটি পঞ্চায়েতের অধীনে বসবাসকারী উপভোক্তাদের তথ্য যাচাই করেছেন এবং ওটিপির মাধ্যমে তাদের ব্যাংকের নথিপত্র যাচাই করে তাদের জন্য একটি ইউনিক নাম্বার জেনারেট করেছেন। এই ইউনিক নাম্বারের দরুন প্রতিটি উপভোক্তাকে আলাদা করে চেনা সম্ভব।
১৬ দফা নির্দেশিকা প্রকাশ করল রাজ্য। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের টাকা পাওয়া আরও কঠিন হলো।
বাংলা আবাস যোজনার টাকা কবে ঢুকবে?
বাংলা আবাস যোজনার টাকা কবে ঢুকবে এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। ১৫ ই ডিসেম্বর থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থদপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই রাজ্য কোষাগার থেকে অর্থ জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই টাকা সাধারণের মধ্যে বিতরণ করার জন্য আনুষ্ঠানিক সূচনা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কাছে একটি বিশেষ তারিখ চেয়ে নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন অর্থ এবং পঞ্চায়েত দপ্তরগুলি। আশা করা যাচ্ছে ২৫ ডিসেম্বরের আগেই ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করবে।
টাকা ছাড়ার আগে কোনরূপ অনুষ্ঠান হবে?
টাকা ছাড়ার মধ্যে কোন আনুষ্ঠানিকতা থাকবে কিনা, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কারণ এত পরিমান টাকা আগে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে কখনো ছাড়া হয়নি। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি তবে মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু হবে না।
রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা :
বিরোধীদল সহ অনেকেই মনে করছেন এই আবাস যোজনার টাকা আসলে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের একটি মহান অস্ত্র। বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। কারণ আবাস যোজনার টাকা সুষ্ঠুভাবে বন্টন করা এবং সে বিষয়ে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ যাতে না আসে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিনিয়র সিটিজেন কার্ডে অজস্র সুবিধা। ট্রেন, বাসের টিকিট সহ সুদের হার সবেতেই আকর্ষণীয় ছাড়।
বাংলা আবাস যোজনার টাকা কবে ঢুকবে তা বিস্তারিত জানতে এবং এই প্রকল্পের বিষয়ে যে কোন সমস্যার সমাধানের জন্য, যেকোনো আপত্তি জানাতে জানানোর জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করুন। মুখ্যমন্ত্রীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটি হল – এখানে ক্লিক করুন।