‘বাংলার বাড়ি’ বড় আপডেট
ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ, মঙ্গলবার নবান্নের সভাগৃহ থেকে শুভ সূচনা হলো বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ছাড়ার মাধ্যমে। তার সাথে সাথে কিছু বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানবো।

রাজ্যের বিরাট পরিকল্পনা :
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন কেন্দ্র সরকার যেহেতু সাহায্যের হাত গুটিয়ে নিয়েছে সেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে রাজ্য সরকার। কথামতোই কাজ হয়েছে মঙ্গলবার টাকা ঢুকতে শুরু করেছে উপভোক্তাদের একাউন্টে। ভারতের অন্য কোন রাজ্যে এই নমুনা দেখা যায়নি এখনো অব্দি। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে সাহস করেনি কেউ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে বাংলার বাড়ি (যেটি পূর্বে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নামে পরিচিত ছিল) প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হল।
Aadhar card update : আধার কার্ড আপডেটের শেষ সুযোগ! না করলেই পস্তাবেন।
যদিও এর আগে এই আবাস যোজনা ৬০ শতাংশ টাকা দিয়েছে কেন্দ্র এবং ৪০ শতাংশ টাকা দিত রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন ১০০% টাকাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কারণ কেন্দ্রের কাছে ১ লক্ষ ৭১ কোটি টাকা পাওনা ছিল রাজ্যের। বারবার সার্ভে করেও বাংলার গরীব মানুষকে টাকা পাঠায়নি কেন্দ্র সরকার।
টাকা কোথায়, কবে ঢুকবে?
বারংবার সার্ভে করার পরে মোট ১২ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি পাবেন বলে ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। প্রথমে এই লিস্টে ১১ লক্ষ পরিবারের নাম থাকলেও, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কেউ এই লিস্টে ঢোকানো হয়েছে। ফলে টোটাল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ।
Job Fair : বিরাট সুখবর। বৃহত্তম চাকরি মেলা শুরু। কোনরকম যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি পাবেন ছেলেমেয়ে সকলে।
১৫ই ডিসেম্বর থেকে টাকা ছাড়া আর কথা ছিল সেই কথা মতনই ১৪ই ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যেবেলা ৬৫৬৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বিভিন্ন জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৭ই ডিসেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার নবান্ন সভাগৃহ থেকে বসে টাকা ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২১ টি জেলা থেকে দুজন করে উপভোক্তা মুখ্যমন্ত্রী হাত থেকে সরাসরি এই অর্থ গ্রহণ করলেন। ফাইনাল লিস্টে যাদের নাম বেরিয়েছে তাদের একাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গেছে এবং যাদের টাকা ঢোকেনি দু-একদিনের মধ্যেই তাদের ঢুকে যাবে প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বাকি পড়ে রয়েছেন এখনো অনেক মানুষ। এখনো ১৬ লক্ষ পরিবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যার মধ্যে ৮ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি করে দেওয়া হবে ২০২৫ সালের মে-জুন মাসের আগেই। বাকি ৮ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি করে দেওয়া হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের আগে।
অর্থাৎ এখন অব্দি বাংলার বাড়ির টাকা পাননি অথচ মনে হচ্ছে তারা টাকা পাওয়ার যোগ্য তাদের কাছে বিরাট সুযোগ রয়েছে নতুন করে আবেদন করার।
নতুন আবেদন কোথায় করতে হবে?
নতুনভাবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর জন্য দুটি পথ রয়েছে।
১) প্রথমে আবেদন করতে পারেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইন নম্বরটি পাবেন এই ওয়েবসাইট থেকে – এখানে ক্লিক করুন। এখানে ফোন করে আপনার সমস্যা জানান এবং আপনি বাড়ি পাওয়ার যোগ্য হলে সেই বিষয়ে জানিয়ে আবেদন করে দিন।
২) যদি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে অফলাইনে। নিজের সমস্ত নথিপত্র এবং জায়গার নথিপত্র নিয়ে তার সাথে জায়গার একটি ছবি (৪×৬ সাইজের) নিয়ে বিডিও অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসুন।
লক্ষীর ভান্ডারে মহাবিপদ। নতুন বছরেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মহিলার ভাতা।
২০২৬ সালের বিধানসভার গুরুত্ব :
সরকারের তরফ থেকে প্রাণপণের চেষ্টা করা হচ্ছে ২০২৬ সালের বিধানসভার ভোটের আগে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় উপভোক্তা রয়েছে সকলকে বাড়ি করে দেওয়ার। এই লক্ষ্যেই হাঁটা দিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন ২০২৬ সালের ভোটের আগেই বাংলার প্রতিটি গরিব পরিবার তাদের মাথার উপরে পাকা ছাদ পাবেন।
১৬ দফা নির্দেশিকা প্রকাশ করল রাজ্য। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের টাকা পাওয়া আরও কঠিন হলো।