বাংলার বাড়ি প্রকল্প
বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে আরেকটি আপডেট সামনে এসেছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় ১২ লক্ষ পরিবারের জন্য ইতিমধ্যে বাড়ি করার প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিক থেকেই এই টাকা ঢোকা শুরু হয়েছে উপভোক্তাদের একাউন্টে।
যে বিরাট পরিমাণ আবেদন জমা করা ছিল তার মধ্য থেকে ১২ লক্ষ পরিবারকে প্রথম লটে টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। যার মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে পাওয়া যাবে?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়ে যাবে জানুয়ারি মাসে। আপনি পাবেন তো?
নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদেরকে সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, বাড়ি করার কাজ কি শুরু হয়েছে? বাড়ি করা শুরু হয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেছেন মমতা। বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন এই টাকা রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে দিচ্ছে, এই টাকা যেন অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা হয় না।
এর পাশাপাশি তিনি বলে দিয়েছেন দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ১৬ লক্ষ পরিবার যারা বাকি রয়েছে তাদের প্রথম কিস্তির টাকাও দেওয়া হবে মে মাসে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই ১৬ লক্ষ পরিবারকে টাকা দেবেন বলেই জানিয়েছেন। তাই এবারে যদি আপনি টাকা না পান তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। বা যদি এখনো বাংলার বাড়ি প্রকল্প আবেদন না করে থাকেন সেক্ষেত্রে এখনই আবেদন করুন।
Madhyamik Exam : মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ১১ দফা গাইডলাইন জারি করল পর্ষদ।
আবেদন করার জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে। অফলাইনে আবেদন করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত তথ্য এবং জায়গা জমির কাগজপত্র নিয়ে বিডিও অফিসে যোগাযোগ করুন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফোন নাম্বারটিতে ফোন করুন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো – এখানে ক্লিক করুন।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ছাড়ার পরে, নতুন করে কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। কোন উপভোক্তা বাড়ি করতে গিয়ে যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে সেই হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই বিষয়টা ঠিকঠাক পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও নজর রাখতে বলেছেন প্রশাসনিক কর্তাদের।
টাকা বন্টনে কোনরকম অনিয়ম যে সহ্য করা হবে না সেটা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য নবান্ন তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ১৬ দফা গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন উপভোক্তাদের কাছ থেকে যদি কেউ টাকা চায়, বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে যদি উপভোক্তা কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে একেবারে এফআইআর দায়ের করতে হবে।
Indian Citizen Card : সিটিজেন কার্ড না বানালে কি হবে? এই কার্ড কি কাজে লাগবে?
এই প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন “PHE, PWD, সেচ ও পঞ্চায়েতের যত কাজ হবে আমাদের শ্রমিক দিয়ে করতে হবে। ১০০ দিনের শ্রমিকদেরকে এই কাজে নিতে হবে।”
এর পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িতে জল দেওয়ার যে প্রকল্প অর্থাৎ জল স্বপ্ন প্রকল্প ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে।