ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড
ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম একটি প্রকল্প। এই কার্ড বানালে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। আসুন এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাক –
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রতিটি বয়সের মানুষের কথা মাথায় রেখে নানান রকম প্রকল্প চালু করেছেন। এরমধ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বানানো হয়েছে যে কোন ছাত্র-ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার পথে যাতে অর্থ বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই জন্য। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে যেমন পড়াশোনার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা ঋণ নিতে পারেন তেমনি ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড আরেকটি সুবিধাজনক ঋণ নেওয়ার উপযোগী কার্ড।
প্যান কার্ড ২.o ফ্রিতে ডাউনলোড করুন। কিভাবে করবেন?
ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড কি কাজে লাগে?
রাজ্য তথা দেশজুড়ে বেকারত্ব বেড়ে যাচ্ছে চোখের পলকে। এমতাবস্থায় বেকারত্বের জ্বালা দূর করে নিজেদের যেকোনো ব্যবসা বা কোন দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ঋণ নিতে পারবেন রাজ্যের যুবক-যুবতীরা এই ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে –
১) ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বেকার যুবক-যুবতীরা নিজেদের কাজ শুরু করার জন্য ঋণ নিতে পারবেন রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
২) নতুন ব্যবসা বা কোন প্রজেক্ট শুরু করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হবে।
৩) ব্যবসা শুরু করতে যত মূলধনের প্রয়োজন হবে তার ১০শতাংশ দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। বেকারত্ব দূর করে রাজ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার সুযোগ দেওয়া হবে যুবক-যুবতীদেরকে।
৪) কোন বিশেষ দ্রব্য ম্যানুফ্যাকচার করা, কোন সার্ভিস বা বিজনেস গড়ে তোলা, কোন ফার্ম তৈরি করা, কোন নতুন প্রজেক্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন নেয়া যাবে।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প কবে কোথায় বসবে? দেখুন মোবাইলে।
কারা আবেদন করার যোগ্য?
১) ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড বানানোর জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে।
২) আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
৩) কোনরকম সরকারি চাকরির সাথে যুক্ত থাকলে এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৪) ব্যাংক থেকে আগে কোন লোন গ্রহণ করেছেন এবং সেটি শোধ দিতে পারেননি, এরকম ব্যক্তিরা আবেদন জানাতে পারবেন না। অর্থাৎ আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর চেক করা হবে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে দেওয়া হবে? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিভাবে আবেদন করবেন?
ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে দুই ভাবে করতে পারবেন।
১) অনলাইনে আবেদন করার জন্য WBBCCS এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হল – এখানে ক্লিক করুন। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্যান্য নথিপত্র দিয়ে আবেদন জানাতে হবে।
২) দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে এই কার্ডের জন্য ফর্ম তুলে উপযুক্ত নথিপত্র সমেত সেখানেই আবার জমা করতে হবে।
Farmer ID Card : ২৬ জানুয়ারি শেষ তারিখ। এরমধ্যে কৃষকদের বানিয়ে নিতে হবে এই কার্ড।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে সরকারের পক্ষ থেকে আবেদনটি অ্যাপ্রুভ হলে যোগ্য প্রার্থীরা ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড পেয়ে যাবেন। প্রয়োজন পড়লে তারা এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সরকারের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।