ই-শ্রম কার্ড
ই-শ্রম কার্ড কারা করতে পারবে, কারা করতে পারবে না, এই কার্ড থাকলে কত টাকা পাওয়া যাবে? টাকা আদৌ পাওয়া যাবে কিনা, কিভাবে আবেদন করতে হবে, এই কার্ড থাকলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? এই সমস্ত বিষয়ে আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানবো।
ভারত সরকার ই-শ্রম কার্ড চালু করেছে মূলত প্রতিটি শ্রমিকের তথ্যকে একটি নির্দিষ্ট পোর্টালে সংরক্ষিত করার জন্য এবং নানান সময়ে নানান রকম সরকারি পরিকল্পনা ও সুবিধা প্রদান করার জন্য এই তথ্যগুলি প্রয়োজন পড়বে। শ্রমিকরা এই কার্ড বানিয়ে রাখলে যে কোন সময় সরকারি সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ১৫০০ করা হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ঘোষণা।
ই-শ্রম কার্ড কারা বানাতে পারবে?
যেকোনো ধরনের শ্রমের কাজ করলে এই কার্ড বানাতে পারবেন।
১) বাড়ি নির্মাণকারী শ্রমিক
২) পরিযায়ী শ্রমিক
৩) কৃষি শ্রমিক
৪) রিক্সা চালক
৫) রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার শ্রমিক
৬) নিরাপত্তা শ্রমিক বা প্রহরী
৭) বিউটি পার্লার, টেলার প্রভৃতির শ্রমিক
এছাড়াও অন্যান্য যেকোনো কাজের শ্রমিকরাই এই কার্ড বানাতে পারবেন।
বাজেটে কি কি জিনিসের দাম কমলো? কি কি জিনিসের দাম বাড়লো?
ই-শ্রম কার্ড কারা বানাতে পারবে না?
১) ভারতের স্থায়ী নাগরিক না হলে আবেদন করা যাবে না।
২) আয়কর প্রদানকারী ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন না।
৩) ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স হলে আবেদন করা যাবে না।
কিভাবে আবেদন করবেন?
ই-শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো – এখানে ক্লিক করুন।
নিজে যদি আবেদন করতে না পারেন তাহলে আপনার কাছাকাছি যে কোন গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে বা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে আবেদন করতে পারেন।
Mamata Banerjee : ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ চাকরি পেতে চলেছে, কোথায় হবে নিয়োগ?
আবেদন করতে কত টাকা লাগবে?
গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের চার্জ ছাড়া আর কোন টাকা লাগবে না কারণ সরকার এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য কোন টাকা নেয়না।এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয়।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র কি কি?
এই কার্ডে আবেদন করার জন্য –
১) আধার কার্ড
২) আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর
৩) আবেদনকারী ব্যক্তির একটি স্বতন্ত্র সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং সেই সেভিংস একাউন্ট এর অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আইএফএসসি কোড লাগবে।
Budget 2025 update : কৃষকদের জন্য নতুন প্রকল্প চালু করল কেন্দ্র সরকার।
কখন, কত টাকা পাওয়া যাবে?
১) সুবিধাভোগী ব্যক্তি যদি অকাল মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
২) যদি কোন শ্রমিক দুর্ঘটনার ফলে পঙ্গু হয়ে যান বা প্রতিবন্ধী হয়ে যান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
৩) এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার অধীনে এই পোর্টালে যোগদান করা ব্যক্তিরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
৪) এছাড়াও ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর আবেদনকারীদের একাউন্টে ৩০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
এই কার্ডটি গোটা ভারতবর্ষে আজীবন কার্যকর থাকবে।
রেশন কার্ড নিয়ে নতুন সমস্যা। ১৫ই ফেব্রুয়ারি মধ্যে করুন এই কাজ।