বাংলা আবাস যোজনার ফাইনাল লিস্ট
কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায়, জেলাভিত্তিক আবাস যোজনা লিস্ট দেওয়া হয়েছিল। সেটা ছিল আসলে প্রভিশনাল বা অস্থায়ী লিস্ট। সেখানে এলিজিবল বা যোগ্য ব্যক্তিদের নাম ছিল এবং নন এলিজেবল বা অযোগ্য ব্যক্তিদের নামও ছিল।
যে সকল ব্যক্তিদের নাম এর পাশে এলিজিবল লেখা ছিল, তাদের নাম ফাইনাল লিস্টে উঠবে। কিন্তু তার আগে দীর্ঘ প্রসেস রয়েছে। অর্থাৎ বাংলা আবাস যোজনার ফাইনাল লিস্ট বেরোনোর আগে উপভোক্তার মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে একটি ইউনিক নাম্বার জেনারেট করা হচ্ছে। এই দীর্ঘ প্রসেসটি বুঝিয়ে বলব এই প্রতিবেদনে –
প্রথমত, জেলাভিত্তিক অস্থায়ী লিস্টে যাদের নামের পাশে এলিজিবল লেখা ছিল তারা টাকা পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু গ্রামে গ্রামে যে সভা করা হচ্ছে ১৪ই ডিসেম্বর অব্দি তাতে অংশগ্রহণ করতে হবে এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের। এই সভায় অংশগ্রহণ না করলে টাকা পাওয়া যাবে না, তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে এই সকল মহিলাদের। কাদের কপাল পুড়বে জানুয়ারি মাসে?
দ্বিতীয়ত, গ্রামে গ্রামে প্রতিটি পঞ্চায়েতে সরকারি আধিকারিকরা একটি ক্যাম্প করছেন সেই গ্রামের ১০০ থেকে ১২০ জন আবেদনকারী কে নিয়ে। এই ক্যাম্পে বা সভাতে সেই আধিকারিকরা যোগ্য ব্যক্তিদের নথিপত্র গুলি যাচাই করছেন।
তৃতীয়ত, যোগ্য ব্যক্তিদেরকে আধার কার্ড, আধার কার্ডের সাথে লিংক করা মোবাইল নম্বর সহ মোবাইল, ব্যাংকের একাউন্টের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স এই সমস্ত নথিপত্র নিয়ে হাজির হতে হচ্ছে এই সভাতে। যদি কোন ব্যক্তির আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করা না থাকে তাহলে চিন্তার কোন বিষয় নেই, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ হাতের ছাপ নিয়েই কাজ করে দিচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা।
কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প : মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ৭,০০০ টাকা। কারা যোগ্য?
চতুর্থত, ব্যাংক একাউন্ট খতিয়ে দেখে উপভোক্তার মোবাইলে একটি ওটিপি পাঠানো হচ্ছে এবং সেই ওটিপি কাজে লাগিয়ে একটি ইউনিক নাম্বার জেনারেট করা হচ্ছে। এই গোটা কাজটা সরকারি আধিকারিকরাই করে দেবেন উপভোক্তাকে এই নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
পঞ্চমত, এই ইউনিক নাম্বার হলো এমন একটি নাম্বার যার ধরুন প্রতিটি উপভোক্তাকে আলাদা আলাদা করে চিহ্নিত করতে পারবে সরকার। একজনের টাকা যাতে অন্য কোন একাউন্টে ঢুকে না যায় তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ষষ্ঠত, সব জেলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এখনো ফাইনাল লিস্ট দেওয়া হয়নি। এই লিস্ট ১৫ই ডিসেম্বর এর আগে দিয়ে দেওয়া হবে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সভা অনুষ্ঠিত হবে গ্রামে গ্রামে।
বাংলা শস্য বীমার স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করবেন? টাকা পাবেন কিনা দেখে নিন।
সপ্তমত, যদি গ্রাহকের ফোনে মেসেজ না যায় সে ক্ষেত্রে বিডিওতে গিয়ে বাংলা আবাস যোজনার ফাইনাল লিস্ট চেক করতে হবে, উপভোক্তার নাম আছে কিনা, যদি না থাকে তাহলে তিনি বাড়ির টাকা পাবেন না।
এই সমস্ত প্রসেস কমপ্লিট হওয়ার পরে ১৫ ই ডিসেম্বর থেকে বাড়ি করার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা সরকারের তরফ থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং ৩১শে ডিসেম্বরেরমধ্যে প্রতিটি গ্রাহকের একাউন্টে সেটি ক্রেডিট হবে।