কেন্দ্র সরকারের অবহেলার পরে রাজ্যের মানুষকে পাকা বাড়ি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার সক্রিয় হয়েছে নিজেই। এবার শুধু বাড়ি নয় দেওয়া হবে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট। ইতিমধ্যে অনেকে পেয়েও গেছেন।
ইতিমধ্যে আবাস যোজনার অধীনে লক্ষ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছেন এবং চলতি ডিসেম্বর মাসে তারা প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পাবেন। যে সকল আবেদনকারীর নিজের নামে কোন জায়গা নেই তাদেরকে ২ কাঠা করে জায়গা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কলকাতার মতো জনবহুল এলাকাতে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য আলাদা করে বাড়ি নির্মাণ করা সম্ভব নয় এক্ষেত্রে জায়গা বাঁচানোর জন্য ফ্ল্যাট গড়ে তোলা হয়েছে।
কলকাতার বাগবাজার এলাকাতে ৩০০টি নতুন ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। মূলত বাগবাজারের সারদা বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় থাকা বস্তিবাসীদের জন্য এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ৮০টি পরিবার নতুন ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত হয়ে গেছেন ইতিমধ্যে।
প্রথম পর্যায়ে ৮০টি পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০০টি পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হবে, তৃতীয় পর্যায়ে ১২০টি পরিবারকে নিয়ে আসা হবে ফ্ল্যাটে।
এই উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে?
মূলত সারদা মায়ের বাড়ি এবং সেই সংলগ্ন গঙ্গার ঘাটে পরিবেশকে বস্তিমুক্ত রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বস্তির পরিবারগুলিকে ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে। এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের পর্যটন শিল্প অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগের ফলে বাস্তুহীন মানুষগুলো যেমন মাথায় পাকা ছাদ পাবে, তেমনি এলাকাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠবে। ২০২৫ সালের দূর্গা পূজার আগেই ৩০০টি পরিবারকে সফলভাবে নতুন ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করার কাজ সম্পন্ন হবে বলেই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।