সরকারি স্কুল মার্জ আপডেট
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি স্কুল মার্জ করা হবে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে শিক্ষার পরিকাঠামোর গঠনগত দিকের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। স্কুলছুটের সংখ্যা ভারতের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সবচেয়ে বেশি।
স্কুল ছুটের জন্য দায়ী করোনা পরিস্থিতি। কারণ করোনা আসার পর নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির আর্থিক অবস্থা এমনভাবে ভেঙে পড়ে যে পড়াশোনা ছেড়ে ছেলে মেয়েরা কাজে ঢুকে পড়ে। একদল মানুষ আবার দায়ী করছে সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পকে। এই প্রকল্পের আওতায় একাদশ শ্রেণীতে ওঠার পরে ছাত্র-ছাত্রীদের কে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। অনেকেই মনে করছেন এই কারণেই মাধ্যমিক পাস করার পরে কোন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসতে চাইছে না। অনেকে আবার মনে করছেন স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে স্কুলে আসতে চাইছে না ছাত্রছাত্রীরা।
কর্মশ্রী প্রকল্পে আরও বেশি সুবিধা দেবে সরকার। অভিনব উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকার সরকারি স্কুল গুলিকে মার্জ করার পরিকল্পনা করছেন।
সম্প্রতি বিকাশ ভবনের তরফ থেকে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি স্কুলকে তথ্য পাঠানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশে আসতেই বিস্ফোরণ তথ্য সামনে এসেছে। সরকারি স্কুলগুলোতে পড়ুয়ার সংখ্যা, শিক্ষকের সংখ্যা এবং শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন ঘটেছে।
জানা গেছে রাজ্যের প্রায় ২৫০টি স্কুলের ছাত্র ভর্তির হার প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। এর জন্য অনেকে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল গুলিকেও দায়ী করছেন। রাজ্যের ৩ হাজার ৩৬৩ টি স্কুলে মাত্র একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। কুড়ি জনের কম পড়ুয়া রয়েছে ৮২৬১ টি স্কুলে।
বাংলা শস্য বিমার টাকা দেওয়া শুরু হল। ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু চেতলা বয়েজ হাইস্কুলের ১১৪ তম বর্ষে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা চালু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানে স্কুলগুলিকে মার্জ করার কথা সামনে আসে। তিনি বলেন “শিক্ষা দপ্তরের বানানো সম্পূর্ণ পিটিআর রিপোর্ট হাতে পেলেই স্কুল গুলিকে মার্জ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ব্রাত্য বসু আরও জানান কেন্দ্র সরকারের কাছে ক্লাস টেন পর্যন্ত মিড ডে মিল দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মিড ডে মিল যদি মাধ্যমিক স্তরে দেওয়া হয় তাহলে স্কুল ছুট পড়বার সংখ্যা কমবে বলে আশা করা যায়।
(মনে রাখতে হবে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু হয়েছিল গ্রাম বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসার আগ্রহ বাড়ানোর জন্য, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজন খাওয়ার জন্য অন্তত ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবে এই কথা ভেবেই এই প্রকল্প এনেছিল সরকার)
৫০০০ টাকার নোট বাজারে আসছে। এটা কি সত্যি?
নবম দশম শ্রেণীর স্কুল ছুটের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১৭.৮৫ শতাংশ। যদিও এই সমীক্ষা কেন্দ্র সরকারের দ্বারা করা হয়েছে তাই রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা শুরু করা হয়েছে এই রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করার জন্য।