HMPV Virus In India
চীন থেকে ভারতে প্রবেশ করল নতুন hmpv ভাইরাস। এই ভাইরাস কতটা বিপদজনক? কাদের সংক্রমণ হতে পারে? সংক্রমিত হলে কি করতে হবে? বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন? আসুন আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানা যায়।
HMPV ভাইরাস কী? এটি কতটা বিপদজনক?
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, এ ভাইরাস সাধারণত ঠান্ডা লাগার মত উপসর্গ সৃষ্টি করে। এ পুরো নাম হল হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস। এটা মোটেই করোনার মত শক্তিশালী বা প্রাণনাশক ভাইরাস নয়। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়, কখনো কখনো এটা নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ এর মত নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড বানালে পাবেন ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু কিভাবে?
২০০১ সালে ডাচ গবেষকরা আবিষ্কার করেন এই ভাইরাস। এটা মূলত সর্দি কাশির মতন একটা সাধারন ভাইরাস। এটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমনের জন্য দায়ী। শীতকালে এই ভাইরাস বেশি দেখা যায়।
HMPV Virus In India
কারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে?
মূলত ছোট শিশু এবং বৃদ্ধ ব্যক্তিরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম তাদের এই সংক্রমণ ঘটতে পারে। তবে এটা কোভিডের মতো শক্তিশালী নয় তাই চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই, কোন টিকা নেই।
পৃথিবী জুড়ে সংক্রমণের চিত্রটি কেমন?
চীনে এই ভাইরাসের উৎপত্তি ঘটেছে। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে চীনের হসপিটাল গুলিতে ভিড় জমেছে রোগীদের। সেই নিয়েই গোটা পৃথিবী জুড়ে শুরু হয়েছে আতঙ্ক।
চীন ছাড়াও মালয়েশিয়া এবং ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে ৮ মাসের একটি শিশুর দেহে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। যদিও এই আক্রান্ত শিশুটির কোন ভ্রমণ ইতিহাস নেই।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে দেওয়া হবে? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
HMPV Virus In India
এই ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ কী?
১) শীতকালে জ্বর-সর্দি-কাশি খুবই স্বাভাবিক। এরকমই আর একটি স্বাভাবিক ভাইরাস হলো HMPV, তাই ভয়ের কোন কারণ নেই।
২) প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, নাক বন্ধ প্রভৃতি অসুবিধা হতে পারে।
৩) এই ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের আশেপাশে থাকলে এটি ছড়িয়ে যায় হাঁচি, কাশির মাধ্যমে। হাত মেলানো, চুম্বন প্রভৃতি অন্য কারণ।
HMPV Virus In India
এই ভাইরাসের চিকিৎসা কী?
ICMR (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এটা কোন গুরুতর ভাইরাস নয়। WHO (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন) এ বিষয়ে কোন কড়া নির্দেশিকা জারি করেনি। তাই চিন্তার কোন ব্যাপার নেই।
বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করা, অন্য কারোর হাঁচি কাশির সংস্পর্শে না আসা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা প্রভৃতি সাবধানতা নেওয়া যেতে পারে।
যদি কোন শিশু বা ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন, কিছু সাধারন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে এবং উপযুক্ত ওষুধ খেতে হবে। অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোন সমস্যা ছাড়া হাসপাতাল যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়ে যাবে জানুয়ারি মাসে। আপনি পাবেন তো?
HMPV Virus In India
দর্শকদের জন্য বিশেষ বক্তব্য :
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবে ভয় পাবেন না। এই ভাইরাস কোন প্রাণঘাতী ভাইরাস নয়। শীতকালে সর্দি, কাশি, জ্বরের মতন স্বাভাবিক লক্ষণ এই রোগের। তাই অযথা ভয় না পেয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন। প্রয়োজন পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ভয় পাবেন না। এটি করোনার মত কোন শক্তিশালী ভাইরাস নয়। ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠবে।