কর্মশ্রী প্রকল্প আপডেট
কর্মশ্রী প্রকল্পটি কাদের জন্য, এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী সুবিধা দিয়ে থাকে? এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী? আসলে সমস্ত বিষয় বিস্তারিত জানা যাক।
কর্মশ্রী প্রকল্পটি কী?
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত একটি অন্যতম প্রকল্প হলো কর্মশ্রী। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারকে নানান সুযোগ সুবিধা করে দেন। যে সকল শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজ করতো কিন্তু কোন কারনে কাজ পাননি, তাদেরকে বিকল্প কাজের সুবিধা করে দেওয়া হয় এই প্রকল্পে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনহাটায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন, যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের নাম করে হেনস্থা করা হয়েছে। আর এই খবর শোনার পরে তিনি কর্মশ্রী প্রকল্প নিয়ে নতুন আপডেট নিয়ে আসেন।
PM Kishan Update : পিএম কিষানের টাকা ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার হতে পারে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের কি সুবিধা দেওয়া হবে?
১)কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে রাজ্যের প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে, যারা কাজের সূত্রে অন্য রাজ্যে গিয়ে বসবাস করেন।
২) গত ডিসেম্বর মাসে বাংলা আবাস যোজনা টাকা ছাড়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি তৈরি করার কাজ চলছে। আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করার কাজে এই সমস্ত শ্রমিককে কাজে লাগাতে হবে, এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
৩) গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলা পরিষদের বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে তথা সরকারি তত্ত্বাবধানের বিভিন্ন নির্মাণ কাজে এই সমস্ত শ্রমিককে কাজ দিতে হবে।
৪) এছাড়া জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা গুলি থেকে মোট ২.৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
বাংলা শস্য বিমার টাকা দেওয়া শুরু হল। ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
সরকারের উদ্দেশ্য কী?
রাজ্য বেকারত্বের সীমা নেই। এমতাবস্থায় যারা পড়ে যায় শ্রমিক তাদের কাজের বড়ই অভাব। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকার চাইছে বাংলার প্রতিটি নাগরিক বিশেষ করে শ্রমিকরা যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ কাজ পায়, তাদের পরিবার যেন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সরকারের বিশেষ নজরদারি :
প্রকল্পটি সঠিকভাবে চালানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর জন্য প্রতিটি গ্রাম সংসদের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের যে পরিবার রয়েছে তাদের নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করা হবে। প্রতিটি জেলায় আলাদা করে নোডাল অফিসার নিযুক্ত করা হবে যারা তথ্য সংগ্রহ, কর্মে নিযুক্তিকরণ, নজরদারি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চালাবে।
এর পাশাপাশি BDO বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার এবং জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং কর্মীদের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
Post Office e-kyc : ৬ জানুয়ারি থেকে আধার যাচাই না করে লেনদেন করা যাবেনা পোস্ট অফিসে।
এই প্রকল্পের বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার জন্য রাজ্য সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হল – এখানে ক্লিক করুন।
ধন্যবাদ দা