কিষাণ ক্রেডিট কার্ড
সরকার পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হলো কিষান ক্রেডিট কার্ড (KCC) স্কিম। এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে শুধুমাত্র অসময়ে কম সুদে ঋণ নেওয়াই যাবে না তার সাথে সাথে গবাদি পশু কেনা, চাষের সরঞ্জাম কেনা প্রভৃতি সুবিধাও পাওয়া যাবে। এই কিষাণ ক্রেডিট কার্ড কিভাবে তৈরি করবেন, কোথায় আবেদন করবেন, কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়বে আসুন বিস্তারিত জেনে নিই। সর্বোপরি এটাও বলবো কেন এই কার্ড বানিয়ে রাখা জরুরী?
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এর উদ্দেশ্য কি?
সরকার পরিচালিত এই স্কিমটির মূল উদ্দেশ্য হল কম সুদে কৃষকদেরকে ঋণ প্রদান করা। এই সুবিধা পাওয়ার আগে কৃষকদেরকে ধনী কোন ঋণদাতার কাছ থেকে ঋণ নিতে হতো চাষবাসের জন্য এবং তার সুদ ছিল একদম চড়া, শোধ করার সময় সীমাও ছিল অল্প এবং অনমনীয়। এই অসুবিধার জন্য ১৯৯৮ সালে ভারতীয় বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের দ্বারা ইস্যু করা হয়েছিল এই কার্ড।
বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতায় দারুণ সুখবর। গোটা ডিসেম্বর ধরেই চলবে এই কাজ।
কারা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বানানোর যোগ্য?
যে কোনো ভারতীয় কৃষক এই কার্ড বানাতে পারেন। যারা পেশাগত দিক থেকে শুধুমাত্র কৃষক, ভাগচাষী, ভাড়াটিয়া চাষী প্রভৃতি। বিশেষ করে গ্রামীন এলাকার কৃষকরাই এই কার্ড বেশি ব্যবহার করেন।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের দরকার নেই। সব প্রকল্পের জন্য আবেদন করুন এইখানে।
এই কার্ড কি কাজে ব্যবহার করা যাবে?
একজন কৃষক নানান প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে চাষ করে থাকেন। বন্যা, খরা, শিলা বৃষ্টি প্রভৃতির কারণে যদি ফসল নষ্ট হয় সেক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তার জন্য, চাষবাসের বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার জন্য, গবাদিপশু কিনা এবং তাদের খাবার কেনার জন্য, মৎস্য চাষের জন্য প্রভৃতি কাজে কিষান ক্রেডিট কার্ডের সাহায্য পাওয়া যাবে। এর সাথে ফসল বীমার সুবিধা পাওয়া যায়। ফসলের জন্য বীজ, সার, কীটনাশক প্রভৃতির জন্য ঋণ পাওয়া যায়। ৯% সুদের হারে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন। সময় মত সুদ পরিশোধ করতে পারলে অতিরিক্ত ৩% ছাড় পাওয়া যাবে। অর্থাৎ তাকে ৪% সুদ দিতে হবে।
আবেদন কোথায় করবেন?
১) কৃষককে তার নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। এছাড়াও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করতে পারবেন।
২) আবেদনপত্র নিয়ে সেটি পূরণ করতে হবে।
৩) আবেদনপত্রের সাথে এই ডকুমেন্টগুলি জমা দিতে হবে –
•ভোটার কার্ড
•আধার কার্ড
•পাসপোর্ট সাইজের ছবি
•জমির ডকুমেন্টস যেমন – জমির পরচা, খতিয়ান, খসড়া প্রভৃতি।
ব্যাংকের আধিকারিক আবেদনপত্রের সাথে সমস্ত ডকুমেন্টস মিলিয়ে দেখবেন, সমস্ত যাচাইয়ের পরে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হবে।
Bangla Awas Yojana List : জেলা অনুযায়ী আবাস যোজনা লিস্ট চেক করুন। আপনার নাম লিস্টে আছে নাকি দেখুন।
অর্থের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে –
ফসলের ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী, জমির পরিমাণ অনুযায়ী, কৃষক কোন ফসল উৎপন্ন করছেন এবং তার উৎপাদনের খরচের ওপরে ঋণ পাবেন। এই সবকিছুর সাথে কৃষক এর আগে কোন লোন নিয়েছেন কিনা এবং তিনি সঠিকভাবে সঠিক করেছেন কিনা সেটাও চেক করা হবে।
আপনার এলাকায় দুয়ারে সরকার কেন কবে হবে জানুন – এখানে ক্লিক করুন