লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সব থেকে জনপ্রিয় প্রকল্প এটি। অন্য সমস্ত প্রকল্পের টাকা ঢুকতে দেরি হলেও লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ঢুকতে কখনো দেরি হয় না। প্রসঙ্গত বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন এই প্রকল্প রাজ্য সরকারের ভোট বাক্সে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে।
লক্ষীর ভান্ডারে কত টাকা দেওয়া হয়?
২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেছিলেন এবং তখন টাকার পরিমান ছিল, সাধারণ গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা। তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতিদের জন্য ৭০০ টাকা। কিন্তু কিছুদিন এই প্রকল্প চলার পরে এই টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সময়ে সাধারণ গোষ্ঠী মহিলারা পেয়ে থাকেন ১,০০০ টাকা। তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতীয় মহিলারা পেয়ে থাকেন ১,২০০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগেই লক্ষীর ভান্ডারের টাকা আবার বাড়বে। কিন্তু ১,০০০ টাকা বেড়ে ১,৫০০ হবে নাকি ২,০০০ হবে এটা এখনো নিশ্চিত নয়।
টাকা আটকে যেতে পারে :
অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ডের লিংক করা নেই। আবার অনেকে ব্যাংকে গিয়ে আধার কার্ডের সাথে ব্যাংক একাউন্ট লিংক করিয়ে আসলেও পরে সেই লিংক নিজে নিজে সরে যায়। তাই এ বিষয়ে মহিলাদের সবসময় সতর্ক থাকা দরকার যে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ডের লিংক করা রয়েছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে অতিসত্বর লিংক করিয়ে নিতে হবে।
আরো পড়ুন- Bangla Awas Yojana থেকে নাম বাদ গেছে ৪ লক্ষ মানুষের। আবার সমীক্ষা করার নির্দেশ জারি হল।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নতুনভাবে আবেদন করার জন্য কি করবেন?
এই প্রকল্পে আবেদন করার সঠিক জায়গা হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। আপনার এলাকাতে যখন দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসবে সেখানে গিয়ে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহ করে নিম্নোক্ত নথিপত্র গুলি তার সাথে যুক্ত করে আবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জমা দিতে হবে-
১. আধার কার্ডের জেরক্স
২. স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স
৩. রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটো
৪. ব্যাংক একাউন্টের প্রথম পাতার জেরক্স।
৫. যদি তপশিলি জাতি বা তপশিলি উপজাতি হয়ে থাকেন তাহলে তার সার্টিফিকেটের জেরক্স দিতে হবে।
কারা এই প্রকল্পে আবেদন করার যোগ্য?
১. আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২. আবেদনকারীর বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
৩. আবেদনকারী স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকতে হবে।
৪. আবেদনকারী যদি কোন সরকারি চাকরি করেন বা সরকারি পেনশনধারী হন তাহলে আবেদন করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন- লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ২,০০০ করা হবে। কারা পাবে?
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প এখন শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা বিশ্বের দরবারে বিখ্যাত হয়েছে। এই প্রকল্পকে দেখে ভারতের অন্যান্য রাজ্য এরকমই মহিলাদের জন্য প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের দরুন মহিলাদের পরিবারে সম্মান, সচ্ছলতা বাড়বে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ইতিমধ্যে জানা গেছে এই প্রকল্পের টাকাতে কারো সংসার চলে, কারো আবার সন্তানের পড়াশোনার খরচ চলে। সর্বোপরি পশ্চিমবঙ্গের মা-বোনেরা যথেষ্ট উপকৃত হয়েছেন এই প্রকল্পের দ্বারা।