লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকারের সব থেকে মূল্যবান প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার। এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের ২৫ বছর উর্ধ্ব সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ১,০০০ টাকা করে এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে ১,২০০ টাকা করে পান।
সম্প্রতি বৃহস্পতিবার নবান্নের একটি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন লক্ষীর ভান্ডারসহ বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা এই সমস্ত প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা বাড়ানো হবে। ২০২৪ সালে যারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন, তাদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটবে। ডিসেম্বর মাস থেকে ৫ লক্ষ নতুন উপভোক্তা যুক্ত হবে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ডিসেম্বর মাসে ঢুকবে না এই ভুল করলে। সব ঠিক আছে নাকি দেখে নিন।
এই প্রকল্প আর্থিক অনুদানের জন্য ৪৮ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। যেহেতু ৫ লক্ষ নতুন উপভোক্তা যুক্ত হবেন ডিসেম্বর মাস থেকে তাই এই প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়িয়ে ৬২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা করা হলো। অর্থাৎ যারা নতুন ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন তারা ডিসেম্বর মাস থেকে টাকা পাবেন।
এই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো জানান যারা এই প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন তাদের বয়স ৬০ বছর পেরোলে অটোমেটিক বার্ধক্য ভাতায় পরিণত হবে। এর জন্য আলাদা করে কোন ফর্ম ফিলাপ করতে হবে না।
বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি পিছিয়ে গেল। দেরি হবে টাকা দিতে জানালো রাজ্য সরকার।
শুধু এই প্রকল্প নয়, ডিসেম্বর মাস থেকে বাড়তে চলেছে বিধবাতে প্রকল্পের বরাদ্দ টাকাও। কারণ ডিসেম্বর মাস থেকে নতুন করে ৪৩ হাজার ৯০০ জন উপভোক্তা যুক্ত করা হবে। যারা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন, এর মধ্যে যারা উপযুক্ত, তাদের টাকা বরাদ্দ করা হবে ডিসেম্বর মাস থেকে।
প্রতিবারের মতো এবারও নভেম্বর মাসের শেষ দিকে এই প্রকল্পের টাকা ছেড়ে দেওয়া হবে, ডিসেম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে পুরনো এবং নতুন আবেদনকারী সকলের একাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।
কৃষকবন্ধু প্রকল্পে টাকা ছাড়া হল। ব্যাংকে কবে ঢুকবে?(Krishak Bandhu Payment – 2024)
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজে মহিলাদের ক্ষমতায়ন, পরিবারে আর্থিক সাহায্য, সমাজে নারীর সুরক্ষা আরো মজবুত হবে বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করুন – এখানে ক্লিক করুন