লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। যদিও অন্যান্য প্রকল্পের মতো কঠোর ভাবে যাচাই করা হয়নি এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের। সব ক্ষেত্রেই একটা মানবিকতা প্রকাশ পেয়েছে এই প্রকল্পটির ক্ষেত্রে। কিন্তু এবার কড়া হলো নিয়ম।
সাধারণত লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলারা যারা জেনারেল কাস্ট বা সাধারণ শ্রেণীর মহিলা তারা ১,০০০ টাকা করে প্রতি মাসে পান। তপশিলি জাতির মহিলারা ১,২০০ টাকা করে প্রতি মাসে পান। কিন্তু যারা পাওয়ার যোগ্য না তারাও বিকল্প পথে এই প্রকল্পের টাকার সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু এবার সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পেরও তথ্য যাচাই করা হবে। কাজ শুরুও হয়ে গেছে।
টাকা চালু রাখতে কী করবেন?
১. এমন অনেক মহিলা রয়েছেন যাদের বয়স এখনো ২৫ বছর হয়নি কিন্তু নকল নথিপত্র বার করে তারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের নাম প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হবে। একমাত্র আধার কার্ড অনুযায়ী ২৫ বছর পূর্ণ হলে তবেই এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে।
২. অনেকে সরকার প্রদত্ত অন্যান্য ভাতার সুবিধা পান তার সাথে এই প্রকল্পের সুবিধাও পান। যে সকল মহিলা বার্ধক্য ভাতা পান তারা লক্ষীর ভান্ডার পাওয়ার যোগ্য নন। কারণ দুটো ভাতা একসাথে দেওয়া হয়না।
৩. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যারা জেনারেল কাস্ট বা সাধারণ শ্রেণীর মহিলা তারা বিকল্প পথে তপশিলি জাতির সার্টিফিকেট বার করে সেটি ফর্মের সাথে জমা দিচ্ছেন। এর ফলে তপশিলি জাতির মহিলাদের জন্য বরাদ্দ বেশি টাকার সুবিধা তারা পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।
৪. অনেক মহিলার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় জয়েন্ট ব্যাংক একাউন্ট দিয়েছেন ফর্ম এর সাথে। এক্ষেত্রে টাকা পাওয়া যাবে না। আবেদনকারী মহিলার স্বতন্ত্র নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
৫. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সরকারি কর্মচারী হয়েও বা সরকারি পেনশনধারী হয়েও মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন। তাদের টাকা বন্ধ হয়ে যাবে।
৬. সঠিক সময় অন্তর ব্যাংক একাউন্টে কেওয়াইসি জমা দিতে হবে। ব্যাংক একাউন্টে কেওয়াইসি না করা থাকলে টাকা আটকে যাবে, যদিও কেওয়াইসি সম্পূর্ণ হলে জমা টাকা আবার পাওয়া যাবে।
৫. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সরকারি কর্মচারী হয়েও বা সরকারি পেনশনধারী হয়েও মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন। তাদের টাকা বন্ধ হয়ে যাবে।
৬. সঠিক সময় অন্তর ব্যাংক একাউন্টে কেওয়াইসি জমা দিতে হবে। ব্যাংক একাউন্টে কেওয়াইসি না করা থাকলে টাকা আটকে যাবে, যদিও কেওয়াইসি সম্পূর্ণ হলে জমা টাকা আবার পাওয়া যাবে।
উপরে উক্ত নিয়মগুলি অমান্য করলে টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। এই প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মহিলাদের জন্য।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করুন- এখানে ক্লিক করুন