লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প বড় আপডেট
ভারতের সব রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। যদিও অন্য সব প্রকল্পের টাকা পাওয়া যতটা কঠিন এই প্রকল্পের নিয়ম-কানুন অতটা কঠিন আগে ছিল না। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যে ঘটে যাওয়া ট্যাব কেলেঙ্কারি সরকারকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে।
লক্ষীর ভান্ডারে রাজ্যের প্রতিটি ২৫ বছর উর্ধ্ব মহিলা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা করে প্রতি মাসে পান।
অন্যান্য সমস্ত প্রকল্পের মতনই কঠিন করে দেওয়া হয়েছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের নিয়ম কানুন। নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে এই সমস্ত নিয়ম যদি না মানেন তাহলে চলতি ভাতার টাকাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প : মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ৭,০০০ টাকা। কারা যোগ্য?
প্রথমত, এমন অনেক মহিলা রয়েছেন যারা বিকল্প পথে তপশিলি সার্টিফিকেট বার করে লক্ষীর ভান্ডারের সাথে জমা দিয়েছিলেন, তাদের তথ্য যাচাই করে বরাদ্দ ভাতার টাকা কমিয়ে আনা হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে যেভাবে এক অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য একাউন্টে চলে গেছিল সেরকম যাতে আবার না ঘটে। তাই প্রতিটি আবেদনকারীর আধার কার্ডের সাথে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যাচাই করে দেখা হবে। তাই প্রতিটি মহিলাকে তার ব্যাংকের একাউন্টের সাথে আধার কার্ড অবশ্যই লিঙ্ক করে রাখতে হবে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি চালু রাখতে হবে।
বাংলা শস্য বীমার স্ট্যাটাস চেক কিভাবে করবেন? টাকা পাবেন কিনা দেখে নিন।
তৃতীয়ত, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন এমন অনেক মহিলাই সরকারি চাকরিজীবী তাদের সকলকে শনাক্ত করে ভাতা বন্ধ করা হবে।
চতুর্থত, এমন অনেক আবেদনকারী রয়েছেন যাদের বয়স এখনো ২৫ বছর হয়নি কিন্তু তারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করে দিয়েছেন। তাদের বয়সের প্রমাণপত্র মিলিয়ে দেখা হবে।
পঞ্চমত, অনেক মহিলা একসঙ্গে বিধবা ভাতা এবং লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে সুবিধা নিচ্ছেন। তাদেরকে খতিয়ে দেখা হবে কারণ এই দুটি ভাতা একসাথে নেওয়া যায় না।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের দরকার নেই। সব প্রকল্পের জন্য আবেদন করুন এইখানে।
চলতি ডিসেম্বর মাসে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আলাদা করে ৫ লক্ষ ৭ হাজার মহিলা যুক্ত হয়েছেন। এই আবেদন গুলি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ফোন নাম্বারে করা হয়েছিল। অন্যান্য প্রকল্পের মতন এই প্রকল্পেও কড়াকড়ি শুরু করেছে রাজ্য সরকার। অবৈধভাবে কোন মহিলা যেন টাকা না পায় সেদিকে কড়া নজরদারি করা হচ্ছে।