লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় রূপান্তর
পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই এক নামে জানে। এই প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম আনা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন লক্ষীর ভান্ডার যেহেতু নিয়ম অনুযায়ী ৬০ বছর হলেই মহিলাদের বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। সেই নিয়ম পরিবর্তন করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন লক্ষীর ভান্ডার মহিলারা আজীবন পাবেন। শুধুমাত্র ষাট বছর হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় রূপান্তরিত হয়ে যাবে। এভাবে মহিলারা সারা জীবন লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাবেন।
বার্ধক্য ভাতার নিয়ম:
সাধারণ বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি নিয়ম হচ্ছে সেই ব্যক্তির আয় এক হাজার টাকা হতে হবে না হলে তিনি বার্ধক্য ভাতা পাবেন না। এই নিয়ম বলবৎ থাকলে অনেক অসুবিধা, সামনে আসছিল। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরো একটি নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে বলে রাখা ভালো, ‘তপশিলি বন্ধু’ ও ,’জয় জোহর’ প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোন আয়ের ঊর্ধ্বসীমা নেই।
Ration Card New Rules : ১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ৮০ কোটি মানুষ পাবে প্রতিমাসে ১,০০০ টাকা।
আয়ের উর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার উদ্যোগ:
লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় পরিবর্তনের সময় এই বার্ধক্য ভাতার আয়ের ঊর্ধ্বসীমা এক হাজার টাকার নিয়ম বলবৎ থাকবে না। মহিলাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবেই লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় নাম পরিবর্তিত হবে।
সূত্রের খবর নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর ইতিমধ্যেই একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে। যেটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
শিক্ষাসাথী প্রকল্প : ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নতুন উদ্যোগ। কী সুবিধা পাওয়া যাবে?
নতুন নিয়ম অনুমোদন পেলে কি হবে?
মন্ত্রিসভায় নতুন নিয়ম অনুমোদন পেলে অনেক বেশি সংখ্যায় মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় আসতে পারবে এবং সারা জীবন তারা এর সুবিধা নিতে পারবে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মহিলা উপকৃত হবে। তবে এটি শুধুমাত্র সাধারণ দের জন্য। ইতিমধ্যেই আমরা আলোচনা করেছি ‘তপশিলি বন্ধু’ ও ‘জয় জোহর’ প্রকল্পের জন্য কোন আয়ের ঊর্ধ্বসীমা আগে থেকেই ছিল না। তাই তপশিলি জাতি ও উপজাতি ভুক্ত মহিলারা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য পাতায় চলে আসবেন ৬০ বছর হলেই।
Aadhar Card Update : আধার কার্ডের কাজ বন্ধ হল। নতুন, সংশোধন সব কাজ বন্ধ। এখন কি উপায়?
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মহিলা আর্থিক দিক থেকে সুরক্ষিত হবেন। লক্ষীর ভান্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় রূপান্তর নিজে নিজেই হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফোন নাম্বারটিতে ফোন করুন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হল – এখানে ক্লিক করুন।