প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা ভাতা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হওয়া নিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছিল। এমন অবস্থায় কিছুটা স্বস্তি দান করেছিল সুপ্রিম কোর্টের বার্তা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগ্য অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাছাই না করা গেলেও আপাতত যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ কোন অভিযোগ নেই তারা স্কুলে যেতে পারবেন। প্রতিমাসে যেমন বেতন পেতেন তেমনি পাবেন।
এটা গেল শিক্ষক শিক্ষিকাদের কথা কিন্তু শিক্ষা কর্মীদের নিয়ে কোন রকম নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়নি সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে। তাই শিক্ষা কর্মীদের জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৭ এপ্রিল, শনিবার অর্থাৎ আজ নবান্নে চাকরিহারা শিক্ষা কর্মী যারা গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি তে চাকরি করতেন, তাদের জন্য একটি বড়সড়ো সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের ফোনে চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, সরকার গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি শিক্ষা কর্মীদের জন্য রিভিউ পিটিশন দায়ের করবেন। তবে যতদিন না পর্যন্ত এই মামলা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাচ্ছে ততদিন শিক্ষা কর্মীদের অর্থ সাহায্য করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গ্রুপ-সি শিক্ষা কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা, গ্রুপ ডি শিক্ষা কর্মীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট যদি শিক্ষা কর্মীদের কাজ করার অনুমতির না দেয় শেষ পর্যন্ত তাহলে, রাজ্য সরকার আইন মোতাবেক অন্য উপায় খুঁজে বার করবে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা গ্রুপ ডি কর্মীদের খুশি করতে পারেনি। তারা জানিয়েছে ২০ হাজার টাকা লোন মেটাতে চলে যাবে। তাই আরো ৫০০০ টাকা করে বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
শুধু তাই নয় কাশ্মীরের জঙ্গি হানায় যে তিনটি বাঙালি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুলিয়ার বাসিন্দা মনিশ রঞ্জন মিশ্র এবং বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারীর স্ত্রী এবং বাবাকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।