বার্ধক্য ভাতার ১০০০ টাকা পেতে পারেন আপনিও। কিভাবে আবেদন করবেন? Old Age Pension

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প

বার্ধক্য ভাতার অধীনে বৃদ্ধ বৃদ্ধারা পেতে পারেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে। কিভাবে আবেদন করবেন, কোথায় আবেদন করবেন আসুন বিস্তারিত জেনে নিন।

এই প্রকল্পে কত টাকা পাওয়া যায়?

১৯৯৫ সালের ১৫ই আগস্ট বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পটি চালু করেছিল সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর। ১৯৯৭- ৯৮ অর্থ বর্ষে এর কাজ শুরু হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে টাকার অংক বেড়েছে। বর্তমানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১০০০ টাকা করে পান উপভোক্তারা। এই ১০০০ টাকার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার দান করে ৭০০ টাকা এবং কেন্দ্র সরকার দান করে ৩০০ টাকা।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now

বার্ধক্য ভাতা চালু করার প্রধান উদ্দেশ্য :

বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা যখন আর কোন আয় করতে পারেন না তখন সংসারে তাদের অবহেলা করা হয়। সমাজে ক্ষমতায়ন বজায় রাখতে এবং মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য আর্থিক অনুদানের কথা চিন্তা করেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। বৃদ্ধ বয়সে কোন আয় না থাকলেও চিকিৎসা এবং খাদ্য সরবরাহের একটি সাহায্য অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন- ফ্রিতে Zero Balance Account করুন, সরকার দিচ্ছে প্রচুর সুবিধা। Pradhan Mantri Jan Dhan Yojana
কারা আবেদন করার যোগ্য?

বার্ধক্য ভাতায় সকলে আবেদন করতে পারে না। কারা আবেদন করতে পারবেন আসুন জেনে নিই –

  • ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের বৃদ্ধ বা বৃদ্ধারা অর্থাৎ পুরুষ এবং মহিলা না সকলেই বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে।
  • এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • আবেদনকারী সরকারি চাকরির পেনশনধারী হলে আবেদন করতে পারবেন না।
  • এই প্রকল্প কেবল দরিদ্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য তাই কোন রকম অন্য সরকারি ভাতা পেলে এই প্রকল্প আবেদন করা যাবে না।
এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে সকল মহিলারা ষাট বছর বয়স হওয়ার আগে থেকে বিধবা ভাতা পান, ৬০ বছর বয়স হয়ে যাবার পরে সেই বিধবা ভাতা বার্ধক্য ভাতায় পরিবর্তিত হয়ে যায়। তাই বিধবা ভাতা পেলে আলাদা করে বার্ধক্য ভাতায় আবেদন করা যাবে না কারণ বিধবা ভাতা এবং বার্ধক্য ভাতা একসাথে পাওয়া যায় না।
আরো পড়ুন – Bangla Awas Yojana-তে এলো নতুন নিয়ম। এই ভুলগুলি করলে টাকা পাওয়া যাবে না।

আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্টের দরকার?

এ প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যে সমস্ত নথিপত্রের প্রয়োজন রয়েছে সেগুলি হল-

  • আবেদনকারীর নিজের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং সেই ব্যাংক একাউন্টের প্রথম পাতার জেরক্স লাগবে।
  • আবেদনকারীর আধার কার্ড লাগবে।
  • ভোটার কার্ড লাগবে।
  • রেশন কার্ড লাগবে।
  • পাসপোর্ট সাইজ ফটো লাগবে।
  • ইনকাম সার্টিফিকেট লাগবে।
যখন ফর্ম ফিলাপ করবেন তখন এই সমস্ত নথিপত্রের জেরক্স ওই ফর্মের সাথে জমা দিতে হবে।

কোথায় আবেদন করতে যাবেন?

অনলাইনে ঘরে বসে এই প্রকল্পে আবেদন করা যায় না। অফলাইনে আবেদন করতে হয়। যদি পঞ্চায়েত এলাকা হয় তাহলে ভিডিও অফিসে, যদি পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যালিটি এলাকা হয় তাহলে সমাজকল্যাণ দপ্তরে বা সাব-ডিভিশন অফিসে, বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসলে সেখানেও এই ফর্ম ফিলাপ করে জমা দেওয়া যায়।

বলা বাহুল্য একবার ফর্ম ফিলাপ করলেই যে টাকা পাওয়া যায় এরকম নয়। ফর্ম ফিলাপ করার পরে বার্ধক্য ভাতার স্ট্যাটাস চেক করতে হয় যদি অনলাইনে নথিভুক্ত করা হয়ে থাকে, তাহলে কাজ তাড়াতাড়ি এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন করতে পারেন।

সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কে ফোন করে আপনার সমস্যাটা জানান যে আপনার তাড়াতাড়ি এই প্রকল্পের টাকা পাওয়া জরুরী। এতে আপনার পেন্ডিং ফর্মটি তাড়াতাড়ি আপডেট হয়ে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে যখন টাকা ছাড়া হবে তখন আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন করার ফলে সরকারি কর্মচারী আপনার বাড়ি আসতে পারে, যাচাই করার জন্য যে আপনি সত্যিই বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার যোগ্য কিনা।

Md Cyber Zone -এর কনটেন্ট রাইটার। একজন বিশিষ্ট ইউটিউবার। বিগত চার বছরের বেশি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত।

Share this content:
WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a Comment