বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা পেলে এই ভুল করবেন না। টাকা আটকে যাবে।(Old Age Pension e-kyc)

Old Age Pension

আপনি যদি Old Age Pension/বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে থাকেন, তাহলে বিশেষ কিছু ভুলের কারণে এই টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ব্যাংকে e-kyc করা আছে কিনা দেখুন : ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিন আপনার ব্যাংক একাউন্টে e-kyc করার প্রয়োজন আছে কিনা। দীর্ঘদিন ব্যাংক একাউন্ট এর সাথে কোন লেনদেন না করলে অর্থাৎ একটিভ ট্রানজেকশন না করলে ব্যাংক একাউন্টের kyc করার প্রয়োজন পড়ে। যেকোনো ভাতার টাকা পাওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যাংক একাউন্ট সচল রাখতে হবে।
ব্যাংকে আধার যুক্ত আছে কিনা দেখুন : এখন যেখানে যাই কাজ হচ্ছে তাতেই আধার যুক্ত করা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকের সাথে আধার যুক্ত না করা থাকলে অনেক রকম অসুবিধা হতে পারে। আপনি হাতের ছাপ দিয়ে বাইরে কোথাও টাকা তুলতেও পারবেন না। ব্যাংক একাউন্টে আধার যুক্ত না থাকলে যখন কোন ভাতার টাকা ছাড়া হবে তখন আপনার একাউন্টে সেটি ক্রেডিট হবে না। তাই ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিন আপনার ব্যাংক একাউন্টে আধার লিঙ্ক করা আছে কিনা। অনেক সময় লিঙ্ক করা থাকলেও ছমাস বা এক বছর পরে সেই লিংকটি সরে যায়, সেটাকে নতুন করে আবার লিঙ্ক করতে হয়।
ব্যাংক একাউন্ট পরিবর্তন করতে যাবেন না : অনেক গ্রাহকে মনে করেন যখন যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি তাদের Old Age Pension, বিধবা ভাতা বা প্রতিবন্ধী ভাতাতে যুক্ত করা রয়েছে সে ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি তারা পরিবর্তন করে অন্য কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করবেন। এই ভুল করতে যাবেন না। যদি অলরেডি আপনি টাকা পাচ্ছেন তাহলে যে কোন উপায়ে আপনার ব্যাংক একাউন্ট টাকে সচল রাখার চেষ্টা করুন। যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করে অন্য একাউন্ট দিতে চান তাহলে খুব সম্ভবত আপনার ফর্মটি পেন্ডিং ফর্ম হিসেবে গণ্য হবে এবং টাকা পেতে আবার চার থেকে ছয় মাস দেরি হতে পারে, এই টাকাটা লস হবে আপনার।
বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা একসাথে পাওয়া যাবে না : অনেকেই মনে করেন Old Age Pension এবং বিধবা ভাতা দুটোই একসাথে পাওয়া যাবে। যারা একটা ভাতার টাকা পাচ্ছেন তারা অন্য ভাতায় এপ্লাই করতে যাবেন না। কারণ বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতা একসাথে পাওয়া যায় না। দুটো ভাতায় একসাথে এপ্লাই করতে গেলে কোনটাই আপ্রুভ হবে না।

আরও পড়ুন- লক্ষ্মীর ভান্ডার এর বড় সুখবর। নতুনরা কবে টাকা পাবে? (Lakkhi Bhandar prakalpa Update)

WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now
বার্ষিক KYC করা জরুরী : প্রত্যেক বছর বিডিও অফিস বা মিউনিসিবিলিটি অফিসের অধীনে কিছু কর্মচারী গ্রাহকদের বাড়ি গিয়ে গিয়ে kyc করে থাকেন। গ্রাহক আদৌ সেই ঠিকানায় বর্তমান আছেন কিনা, গ্রাহক মারা গেছেন কিনা, গ্রাহকের নাম দিয়ে অন্য কেউ এই ভাতার সুবিধা নিচ্ছেন কিনা এসব পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিবছর যদি আপনার বাড়িতে এই কেওয়াইসি করতে কোন কর্মচারী না আসেন তাহলে নিকটবর্তী ভিডিও অফিস বা মিউনিসিপ্যালিটি অফিসে (পৌরসভা অফিস) গিয়ে খোঁজ নিন যে এই kyc এর কাজ চলছে কিনা। এই kyc না করলে আপনার টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। Kyc করার জন্য আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাংক একাউন্টের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স, পাসপোর্ট সাইজ ছবি এগুলোর দরকার পড়ে। এই kyc কমপ্লিট করলে সরকার বুঝতে পারে যে আপনি মারা যাননি বা অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হয়ে যাননি এবং আপনি টাকা পাওয়ার যোগ্য।

Old Age Pension/বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পাওয়ার জন্য উপরে উক্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখা খুব জরুরী। না হলে টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

Md Cyber Zone -এর কনটেন্ট রাইটার। একজন বিশিষ্ট ইউটিউবার। বিগত চার বছরের বেশি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত।

Share this content:
WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a Comment