বার্ধক্য ভাতার ফর্ম অনলাইনে কোথায় পাবেন? কিভাবে আবেদন করবেন?

বার্ধক্য ভাতার ফর্ম পূরণ সম্পূর্ণ পদ্ধতি

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প :

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য প্রতিমাসে হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে। যদি আপনার বয়স ৬০ বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ুন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now

৬০ বছর বয়সী বা তার বেশি বয়সের বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধারা উভয়েই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যদি কোন মহিলা ৬০ বছর বয়স হওয়ার আগে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প বা বিধবা ভাতা প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে সেই ভাতাটি অটোমেটিক বার্ধক্য ভাতায় পরিণত হবে।

কিন্তু পুরুষদেরকে বিশেষভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদন ও যাচাই পদ্ধতি শেষ হলে প্রতিমাসে হাজার টাকা করে পাবেন ব্যাংক একাউন্টে।

দুয়ারে সরকার ক্যাম্প-২০২৫ শুরু হচ্ছে ২৪শে জানুয়ারি।

কোথায় আবেদন করলে তাড়াতাড়ি টাকা পাবেন?

বার্ধক্য ভাতার আবেদনের জন্য দুটি পথ রয়েছে।
১) দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ফর্ম জমা করতে পারেন। দুয়ারে সরকারে জমা পড়া বার্ধক্য ভাতার ফর্ম গুলি তাড়াতাড়ি অনলাইনে এন্ট্রি করা হয় এবং গ্রাহকদের একাউন্টে টাকা পাঠাতেও দেরি হয় না।
২) যদি দুয়ারে সরকারে আবেদন না করতে পারেন কোনো কারণে, সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে পঞ্চায়েত বা ব্লক অফিসে গিয়ে বার্ধক্য ভাতার ফর্ম নিয়ে ফিলাপ করে জমা দিতে পারেন।

যদি পারেন অবশ্যই দুয়ারে সরকারে জমা দিন। ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে বিভিন্ন জায়গায়। বার্ধক্য ভাতার ফর্ম এখানে জমা করলে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অনলাইনে এন্ট্রি এবং যাচাই পদ্ধতি কমপ্লিট হবে এবং খুব দ্রুত উপভোক্তারা টাকা পাবেন।

শুধু বার্ধক্য ভাতা নয় দুয়ারে সরকারে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। মোট ৩৭ টি প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল বার্ধক্য ভাতা।

প্যান কার্ডের নতুন নিয়মগুলি ভাঙলে হতে পারে ১০,০০০ টাকা জরিমানা।

আবেদনের জন্য কি কি নথি প্রয়োজন?

১) আবেদনকারীর একটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটো।
২) ভোটার কার্ড
৩) আধার কার্ড
৪) জাতিগত শংসাপত্র(যদি থাকে)
৫) স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট
৬) ইনকাম সার্টিফিকেট
৭) ব্যাঙ্ক পাস বইয়ের জেরক্স।
উপরিউক্ত নথিপত্রগুলি নিয়ে আজই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করুন।

বাংলার পঞ্চায়েত অ্যাপ চালু করা হলো। কি কি সুবিধা পাবেন?

বার্ধক্য ভাতার ফর্ম পূরণের আগে কি কি কাজ সারতে হবে?

বার্ধক্য ভাতার ফর্ম পূরণের আগে দেখুন –

১) আপনার নামে কোন সিঙ্গেল সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে কিনা। জয়েন্ট একাউন্টে প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে না। আবেদনকারী নিজস্ব নামে একটি সেভিংস একাউন্ট থাকতে হবে। না থাকলে আজই বানান।
২) ১/১/২০২৫ তারিখ অনুযায়ী আপনার বয়স ষাট বছর পূর্ণ হওয়া চাই। যদি না হয় তাহলে বার্ধক্য ভাতার ফর্ম পূরণ করে লাভ নেই। যাচাই পদ্ধতি চলাকালীন আপনার নাম বাদ যাবে।
৩) আবেদন করতে যাওয়ার আগে পৌরসভা অফিস বা বিডিও অফিস থেকে ইনকাম সার্টিফিকেট এবং রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বার করুন।
৪) প্রতিটি ব্যক্তিগত নথিপত্রের জেরক্স তৈরি রাখুন।

এলপিজি গ্যাসের ভর্তুকি বাড়তে চলেছে। কারা পাবেন এই সুবিধা?

এই প্রকল্পের অসুবিধা :

বার্ধক্য ভাতা বা বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম অসুবিধা হলো এই প্রকল্পের স্ট্যাটাস অনলাইনে কোথাও চেক করা যায় না। বা অনলাইনে এর ফর্ম ফিলাপ করা যায় না। সমস্ত কাজটাই শারীরিক কাগজপত্রের মাধ্যমে করতে হয়।

আগেও আবেদন করেছেন, টাকা পাননি :

যদি আপনি এর আগেও বার্ধক্য ভাতায় আবেদন করে থাকেন, তাহলে দ্বিতীয়বার আবেদন করার দরকার নেই। এর জন্য দেখতে হবে আপনি বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার আদৌ যোগ্য কিনা। যদি যোগ্য হয়ে থাকেন, তবুও এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেন, তাহলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো – এখানে ক্লিক করুন। এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফোন নম্বরটি পাবেন। সেখানে ফোন করে আপনার সমস্যা জানান। খুব শীঘ্রই তা সমাধান করা হবে।

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বরাদ্দ এক ধাক্কায় ২ গুণ কমানো হলো।

Md Cyber Zone -এর কনটেন্ট রাইটার। একজন বিশিষ্ট ইউটিউবার। বিগত চার বছরের বেশি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত।

Share this content:
WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a Comment