পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প
পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা খুব শীঘ্রই কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকতে চলেছে। কবে টাকা ছাড়ার ঘোষণা করা হবে? কবে টাকা কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে? কারা এই টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন? এই সমস্ত বিষয়ে আজকের প্রতিবেদনে জানবো।
পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা কবে ছাড়া হবে?
ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ১৮ টি কিস্তি দেওয়া হয়ে গেছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা প্রতিবছর ৬০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। এই ৬০০০ টাকা তিনটি কিস্তিতে ২ হাজার টাকা করে কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হয়।
১৯ তম কিস্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কৃষকরা। ১৮তম কিস্তিতে দেওয়া হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে। ১৯তম কিস্তি দেওয়া হবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় প্রতিদিন ২০০ টাকা করে দেবে সরকার। কিভাবে পাবেন?
২৪ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদী বিহার সফরে যাবেন। এবং এই বিহার সফর থেকেই তিনি ১৯তম ইনস্টলমেন্ট রিলিজ করবেন এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। টাকা ছাড়ার ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে।
টাকা কি বেড়েছে?
কৃষকদের বহুদিনের আন্দোলন এর কারণে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা বাড়বে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হয়ে গেছে। সেখানে এই প্রকল্পের কোনরকম উল্লেখ করাই হয়নি। অর্থাৎ টাকা যে বাড়েনি বা বাড়বে না এটা নিশ্চিত।
এখনো আবেদন করেননি?
প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি বা পিএম কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পটি কৃষকদের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। যদি এখনো এই প্রকল্পে আবেদন না করে থাকেন তাহলে আজই করুন।
আবেদন করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে। পিএম কিষানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো – এখানে ক্লিক করুন।
লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ১৫০০ করা হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ঘোষণা।
স্ট্যাটাস চেক করবেন কিভাবে?
উপরে উক্ত ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র নতুন আবেদনই নয়, পুরনো আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এর জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘Know Your Status’ অপশন এ ক্লিক করুন। রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করুন।
আবেদনে কি কি নথি দরকার?
আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। আবেদনকারী নিজস্ব নামে চাষযোগ্য জমি থাকতে হবে।
১) স্বতন্ত্র সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক একাউন্টের সাথে আধার লিংক থাকা বাধ্যতামূলক।
২) আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকতে হবে।
৩) চাষযোগ্য জমির মালিকানার সঠিক প্রমাণ দিতে হবে।
ব্যাংক একাউন্টের সাথে আধার কার্ডের অমিল দেখা গেলে, জমির মালিকানার সঠিক ডকুমেন্ট জমা না দিলে, ব্যাংক একাউন্টের সাথে আধার লিংক না থাকলে এই প্রকল্পের টাকা আটকে যেতে পারে।
Duare Sarkar Status Check : দুয়ারে সরকারে আবেদন করা প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করুন এই ভাবে।