প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা
প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রকল্প বিশ্বকর্মা যোজনায় পাওয়া যাবে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কম সুদের লোন। এই তিন লক্ষ টাকা দুটি কিস্তিতে লোন হিসেবে নিতে পারবেন উপভোক্তা। প্রথমে ১ লক্ষ টাকা এবং পরে বাকি দুই লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া যাবে।
কারা বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদনের যোগ্য?
১) এই প্রকল্পটি বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের লোকদেরকে আর্থিকভাবে সাহায্য প্রদান করার জন্য চালু করা হয়েছে।
২) আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
৩) আবেদনকারী বা তার পরিবারের কোনো সদস্য সরকারি চাকরি করলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।
৪) আবেদনকারীকে ১৪০ টি বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের যেকোনো একটির অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
৫) আবদানকারীর সর্বনিম্ন বয়স হওয়া চাই ১৮ বছর।
৬) আবেদনকারী কে কারিগরিবিদ্যায় দক্ষ থাকতে হবে।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের তারিখ জানিয়ে দিল। কবে, কোথায় বসবে?
বিশ্বকর্মা যোজনায় কীভাবে অর্থ প্রদান করা হবে?
১)প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বকর্মা সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত কম সুদে লোন দেওয়া হবে। এটি তাদের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করবে।
২) বিশ্বকর্মা সম্প্রদায় ভুক্ত লোকেদের দক্ষতা উন্নতির জন্য ট্রেনিং বা বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় কালীন ১৫ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড পাওয়া যাবে।
৩) প্রথমে ঋণ হিসেবে ১ লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয়বারের ঋণ হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সুদের পরিমাণ হবে খুবই কম।
Pan Card Update : কাদের প্যান কার্ড আপডেট করতে হবে? খরচ কত টাকা? কি কি নতুন সুবিধা পাওয়া যাবে?
কোন শিল্পীরা এই সুবিধা পাবেন?
এই স্কিমের বা প্রকল্পের মধ্যে ১৮টি ব্যবসায় নিযুক্ত কারিগরদের সুবিধা প্রদান করা হবে।
১) ছুতোর (যারা কাঠের কাজ করেন)।
২) নৌকা প্রস্তুত কারক।
৩) অস্ত্রধারী।
৪) কামার (যারা লোহার কাজ করেন)।
৫) হাতুড়ি এবং টুল কিট প্রস্তুত করেন যারা।
৬) স্বর্ণকার (যারা সোনার কাজ করেন)।
৭) কুমোর (যারা মাটির জিনিসপত্র তৈরি করেন)
৮) ভাস্কর (যারা মূর্তি তৈরি করেন)
৯) পাথর খোদাইকারি।
১০) পাথর ভাঙ্গা।
১১) মুচি (চর্মকার বা জুতো সেলাই করেন যিনি)।
১২) রাজমিস্ত্রি।
১৩) ঝুড়ি/মাদুর/ঝাড়ু প্রস্তুতকারী।
১৪) পুতুল ও খেলনা প্রস্তুতকারক। (ঐতিহ্যগত)
১৫) নাপিত (যিনি চুল দাঁড়ি কাটেন)।
১৬) মাছ ধরার নেট যিনি তৈরি করেন।
১৭) ধোবি (জিনিস জামা কাপড় ধোয়ার কাজ করেন)।
১৮) দর্জি (যিনি জামা কাপড় সেলাই করেন)।
বার্ধক্য ভাতায় কি কি ডকুমেন্ট লাগবে? লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।
বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদন করতে কি কি নথিপত্র লাগবে?
১) আধার কার্ড।
২) প্যান কার্ড।
৩) জাতের শংসাপত্র।
৪) বসবাসের প্রমাণপত্র।
৫) পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
৬) যোগাযোগের মোবাইল নম্বর।
৭) ব্যাংক একাউন্টের প্রথম পাতা।
উপরিউক্ত নথিপত্রগুলি থাকলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন।
লক্ষীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা বাড়ানো হলো। ডিসেম্বরে কবে ঢুকবে?
আবেদন করার পদ্ধতি কী?
১) বিশ্বকর্মা যোজনায় আবেদন করার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো – এখানে ক্লিক করুন।
২) বিশ্বকর্মা স্কিমে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন।
৩) রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে আবেদন পত্র পূরণ করুন।
৪) প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করে অর্থাৎ স্ক্যান করে আবেদন পত্র জমা করুন এবং ভবিষ্যৎ রেফারেন্স এর জন্য রশিদটি ডাউনলোড করুন।
এই পদক্ষেপগুলি পূরণ করলেই আবেদনপত্র জমা দেওয়া সম্পূর্ণ হবে। ২০২৩ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প চালু হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত কোনো আপডেট জানানো হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। আবেদনপত্র জমা করে রাখুন, কেন্দ্রের তরফ থেকে কোন নির্দেশ এলেই ঋণ পেয়ে যেতে পারেন আপনি।