প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা লোন
কেন্দ্র সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা। এই প্রকল্পের অধীনে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কে বড় টাকার লোন দেওয়া হয় কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা কী?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে চালু করেছিলেন এই মুদ্রা যোজনা। এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। বর্তমানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আরো ফান্ড যোগ করে মোট ৪০ কোটি মানুষকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। নতুন করে ব্যবসা শুরু করার জন্য, পুরনো ব্যবসার সম্প্রসারণ করার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই প্রকল্প চালু হয়।
Income Tax Rules : সেভিংস একাউন্টে কত টাকা রাখা যাবে? কি বলছে আয়কর দপ্তর?
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার ঋণের প্রকারভেদ :
এই মুদ্রা যোজনায় প্রধানত তিন ধরনের ঋণ পাওয়া যায়।
১) শিশু ঋণ : যেকোনো ব্যক্তিকে নতুন করে ব্যবসা শুরু করার জন্য এই শিশু ঋণ প্রদান করা হয়। এই শিশু ঋণের ক্ষেত্রে প্রতিবছর ১% থেকে ১২% সুদের পরিমাণ থাকতে পারে।
২) কিশোর ঋণ : ছোটখাটো ও মাঝারি ব্যবসার সম্প্রসারণের জন্য ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়। এখানে সুদের পরিমাণ থাকে প্রতি বছর ৮.৬০% থেকে ১১.১৫% পর্যন্ত।
৩) তরুণ ঋণ : তুলনামূলক বড় পরিসরে ব্যবসা চালানোর জন্য এবং ব্যবসার উন্নতির জন্য ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সুদের পরিমাণ হয় প্রতি বছর ১১.১৫% থেকে ২০% পর্যন্ত।
RBI Rules : ৩ ধরনের ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হবে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে।
উপরে উল্লেখিত সুদের হার বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত ৯ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যেই এই সুদের হার থাকে।
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা-এ কারা উপকৃত হয়?
বেকার যুবক-যুবতী, মহিলারা, গ্রামীণ অর্থনীতির সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা বা বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের অধীনে ঋণ নিতে পারেন।
এই যোজনায় আবেদন করবেন কিভাবে?
প্রধান অতিথি দুই ভাবে আবেদন করা যেতে পারে।
১) অনলাইন পদ্ধতি :
বিভিন্ন ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে মুদ্রা যোজনা ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় নথিপত্র যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যবসার প্রমাণপত্র, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদন জমা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঋণের অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন জমা করা যেতে পারে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো – এখানে ক্লিক করুন।
২) অফলাইন পদ্ধতি :
ভারতের ভেতরেই অবস্থিত কোন ব্যাংকে গিয়ে মুদ্রা যোজনা আবেদনের ফর্ম সংগ্রহ করে সেটি পূর্ণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় নথিপত্র এই আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করে জমা করতে হবে ব্যাংকে।
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পাল্টে যাচ্ছে একাধিক নিয়ম। দাম বাড়ছে অনেক জিনিসের।
মুদ্রা যোজনা জন্য কি কি নথিপত্রের প্রয়োজন?
আবেদনকারী আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যবসার প্রমাণ পত্র, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট (কমপক্ষে ১২ মাসের), আয়কর রিটার্ন (কমপক্ষে ২ বছরের)