প্রাইমারি সেমিস্টার সিস্টেম : যুগান্তকারী বদল আসছে। ক্লাস ওয়ান থেকেই সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা।

প্রাইমারি সেমিস্টার সিস্টেম পরীক্ষা

এবার যুগান্তকারী পরিবর্তন চলে এলো প্রাইমারি শিক্ষার ক্ষেত্রে। বছরে একবার নয় দুবার করে ফাইনাল পরীক্ষা হবে। যেমনটা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে থাকে।

প্রাইমারি সেমিস্টার সিস্টেম বিদেশে খুবই প্রচলিত একটি প্রথা। ধীরে ধীরে ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব জায়গাতেই শিক্ষার এই ধরনটিকে চালু করা হচ্ছে।

আগে প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারি স্কুলগুলোতে বছরের মাঝখানে একটি হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা এবং বছরের শেষে ফাইনাল পরীক্ষা হতো কিন্তু এখন দুটি সেমিস্টারে পরীক্ষা হবে।

আধার কার্ড দিয়ে টাকা তোলা যায় জানেন? আপনার আধার কার্ডে কত টাকা আছে?

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতার জন্য ছোট থেকেই তৈরি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। তার জন্যই এরকম সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি গৌতম পাল।

সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে তিনি জানিয়েছেন ২০২৫ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকেই চালু হবে নতুন পদ্ধতি। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত হবে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা। জুন মাসে হবে প্রথম পরীক্ষা, ডিসেম্বর মাস হবে দ্বিতীয় পরীক্ষা।

Apaar ID Card : অপার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা হবে জানুয়ারি মাস থেকে। কাদের বানাতে হবে?

প্রাইমারি সেমিস্টার সিস্টেমকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন সভাপতি গৌতম পাল। একটি প্রশ্নপত্রে গোটা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকারি স্কুলের পরীক্ষা হবে বলেই জানা গেছে। পর্ষদের ঠিক করে দেওয়া প্রশ্নপত্রেই হবে পরীক্ষা। মার্কশিটে মার্কসের সঙ্গে ক্রেডিট পয়েন্ট যুক্ত করা হবে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যখন প্রতিযোগিতায় যাবে ছাত্রছাত্রীরা তখন এই ক্রেডিট পয়েন্টই গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

গৌতম পাল আরো জানিয়েছেন প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে গোটা শিক্ষা বর্ষের মধ্যে ৮০০ ঘন্টা অতিক্রম করতে হবে, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ১,০০০ ঘন্টা অতিক্রম করতে হবে।

Ration Card New Rules : ১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ৮০ কোটি মানুষ পাবে প্রতিমাসে ১,০০০ টাকা।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর একটি সেমিস্টারের জন্য ৩৭৬ ঘন্টা করে এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সিঙ্গেল সেমিস্টার অর্থাৎ একটি সেমিস্টারের জন্য ৪৬০ ঘন্টা ব্যয় করতে হবে। যার মধ্যে লিখিত পরীক্ষার সময় থাকবে ৬০ ঘন্টা।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই উদ্যোগ সাফল্যমন্ডিত হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।