SVMCM Scholarship Update
SVMCM Scholarship – টি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছিল ২০১৬ সালে। স্কলারশিপটির সম্পূর্ণ নাম হল স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মেন্স স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Merit-Cum-Means Scholarship)।
SVMCM Scholarship টি মূলত মাধ্যমিক স্তর থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপ পান। এই স্কলারশিপের মূল উদ্দেশ্য হলো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। তাই স্কলারশিপ পেতে গেলে রেজাল্ট ভালো থাকতে হয়।
আরও পড়ুন – ১২,০০০ টাকার স্কলারশিপ পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। কিভাবে আবেদন করতে হবে?(NMMSS Scholarship)
লক্ষ্মী পূজার পর থেকেই এই স্কলারশিপে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে সূত্রের তরফে । খুব শীঘ্রই পোর্টাল খুলে দেওয়া হবে এবং ছাত্রছাত্রীরা SVMCM Scholarship -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে পারবেন। উপযুক্ত নথিপত্র সমেত ইনকাম সার্টিফিকেটও এখানে জমা দিতে হয়।
SVMCM Scholarship -এ যারা আগে থেকে আবেদন করে রেখেছেন, তাদেরকে পরের বছরের জন্য রিনিউয়াল করতে হবে। মাধ্যমিক স্তরে ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর স্তরে বছরে ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় অর্থাৎ দু বছরে ৪৮ হাজার টাকা পান স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রছাত্রীরা।
- আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ৬০% নাম্বার পেতে হবে।
- মাধ্যমিক পাস করলে একাদশ শ্রেণীতে অবশ্যই ভর্তি হতে হবে তবে আবেদন করতে পারবেন।
- উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে অবশ্যই স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে হবে তবেই আবেদন করতে পারবেন।
- এভাবেই প্রতিটি ক্লাসের পরে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি হওয়ার পরে এটিতে আবেদন করা যাবে।
- অন্য কোন সরকারি স্কলারশিপ পেলে এই স্কলারশিপ পাওয়া যাবে না।
- এই স্কলারশিপ পেলে অন্য কোন স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে না।
- পড়াশোনা অবশ্যই সরকারি সংস্থান থেকে করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের বাইরের কোন স্থানে পড়াশোনা করলে স্কলারশিপ পাওয়া যাবে না। যদি গবেষণা স্তরে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গবেষণা করেন তাহলে আবেদন করতে পারবেন। - পারিবারিক বার্ষিক আয় ৩.৫ লক্ষ টাকার নিচে হতে হবে।
SVMCM Scholarship -এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর যখন টাকা ছাড়া হয় তখন সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পৌঁছে যায়। এই প্রকল্পের দরুন দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পান।