SVMCM Scholarship রিনিউয়াল না করলে আর টাকা পাওয়া যাবে না। কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

SVMCM SCHOLARSHIP RENEWAL

পুজোর ছুটির পরেই SVMCM Scholarship এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। সাথে যারা আগে থেকে আবেদন করেছিল তাদের রিনিউয়াল প্রক্রিয়াও শুরু হবে। রিনিউয়াল করতে কি কি রকম লাগবে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

SVMCM Scholarship কী?

পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা পরিচালিত স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মেন্স স্কলারশিপ খুবই জনপ্রিয়। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী এই স্কলারশিপে আবেদন করে থাকেন। মাধ্যমিক পাস করার পর একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সময় থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত SVMCM Scholarship পাওয়া যায়।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now
প্রতি ক্লাসের সাথে টাকার অংক বাড়তে থাকে। মাধ্যমিক স্তরে যেটা ৬০০০ টাকা স্নাতকোত্তর স্তরে সেটা ২৪০০০ টাকা প্রতিবছরে পাওয়া যায়। এবং ভিন্ন ধরনের ডিগ্রীর জন্য ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন- SVMCM Scholarship – এ ছাত্রছাত্রীরা পাবে প্রতি বছরে ২৪,০০০ টাকা। আবেদন কিভাবে?

এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র কিন্তু মেধাবী যে সকল ছাত্র-ছাত্রী পয়সার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেন না তাদেরকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা। মেধাবী বলার কারণ হলো, SVMCM Scholarship এর সুবিধা পাওয়ার জন্য ৬০% বা তার বেশি নম্বর পেতে হবে। যারা সরকারি স্কুল-কলেজে বা সরকার অধীনস্থ স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেন তারা কেবলমাত্র স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। যদি কেউ অন্য কোন সরকারি স্কলারশিপ আগে থেকেই পান তাহলে সে আর SVMCM Scholarship- এ আবেদন করতে পারবেন না।

প্রতিবছর ফাইনাল পরীক্ষার পরে এই স্কলারশিপ রিনিউয়াল করাতে হয়। গত পরীক্ষার মার্কশীট বা রেজাল্ট নিয়ে নম্বর যাচাই করা হয়, এর সাথে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি না হলেও এই স্কলারশিপ পাওয়া যায় না।

যদিও প্রথমবার ফর্ম ফিলাপের সময় যা কিছু ডকুমেন্ট দরকার হয় দ্বিতীয়বার রিনিউয়াল করার সময় এত কিছুর দরকার পড়ে না।

আরও পড়ুন- ১২,০০০ টাকার স্কলারশিপ পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। কিভাবে আবেদন করতে হবে?(NMMSS Scholarship)

দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর ছুটির পরে শুরু হচ্ছে এই স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া। SVMCM Scholarship এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারবেন।

SVMCM Scholarship এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
রিনিউয়াল করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?

যারা আগে থেকে এই স্কলারশীপে আবেদন করেছিলেন, তাদেরকে রিনিউয়াল করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন পড়বে নিম্নোক্ত নথিপত্রগুলি –

১. গত পরীক্ষার মার্কশিট।(৬০% নম্বর পেতে হবে)
২. পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি হওয়ার প্রমাণপত্র। যদি কলেজে ভর্তি হয় তাহলে কলেজের ভর্তি হবার রশিদ লাগবে।
৩. সরকার দ্বারা প্রদত্ত অর্থ যে সঠিক জায়গায় কাজে লাগছে, তার প্রমাণ পত্র হিসেবে কলেজ থেকে একটি ঘোষণা পত্র নিতে হবে। সেটা ফর্মের সাথে সাবমিট করতে হবে।
৪. যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করতে চান তাহলে রিনিউয়াল করার সময় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। এর জন্য ভিন্ন কোন নথিপত্রের প্রয়োজন হবে না।
৫. সাধারণ কলেজে যেহেতু তিনটি বছর ছটি সেমিস্টারে বিভক্ত, সেহেতু প্রতিবছরের রিনিউয়াল করার সময় বিগত দুটি সেমিস্টারের রেজাল্ট মিলিয়ে একসাথে সাবমিট করতে হবে।

Md Cyber Zone -এর কনটেন্ট রাইটার। একজন বিশিষ্ট ইউটিউবার। বিগত চার বছরের বেশি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত।

Share this content:
WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a Comment