স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে আবেদন শুরু হল, ছাত্র-ছাত্রীরা এবার পাবে ৬০,০০০ টাকা করে।

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ

সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য সরকারের তরফ থেকে নানান সাহায্য প্রদান করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মেন্স স্কলারশিপ। অন্যান্য স্কলারশিপ এর তুলনায় স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে অনেক বেশি অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়।

যারা মাধ্যমিক পাশ, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে, বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে, মেডিকেল কলেজে, বা এরকম কোন প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হয়েছে তারা আবেদন করতে পারবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু হলো। ভুল করলেই মহা বিপদ।

কোন কোর্সে কত টাকা পাওয়া যাবে?
১) B.A, BCOM – ১২,০০০ টাকা প্রতিবছর
২) BSC বা BCA – ১৮,০০০ টাকা প্রতিবছর
৩) MBBS, BDS, BHMS, BAMS, NURSHING ইত্যাদি কোর্সে – ৬০,০০০ টাকা অব্দি প্রতিবছরে দেওয়া হবে।

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ

ওয়েসিস স্কলারশিপে ৫,০০০ টাকা করে পাবে ছাত্রছাত্রীরা। কিভাবে আবেদন করতে হবে?

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা কী?

এই স্কলারশিপটি মূলত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। স্কলারশিপ এর সুবিধা পেতে গেলে –
১) মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৬০% নম্বর পেতে হবে। এর চেয়ে কম নম্বর পেলে আবেদন করা যাবে না।
২) আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীর পারিবারিক বার্ষিক আয় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে।
৩) নতুন কোনো প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি হতে হবে, ভর্তি না হলে এই স্কলারশিপের সুবিধা পাওয়া যাবে না।
৪) যদি অন্য কোন সরকারি স্কলারশিপের সুবিধা আগে থেকেই পায় কোন ছাত্র-ছাত্রী, তাহলে সে আর এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবে না।
৫) আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

SVMCM Scholarship রিনিউয়াল না করলে আর টাকা পাওয়া যাবে না। কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে আবেদন করতে কী কী লাগবে?

২০২৪ সালে বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এর জন্য নতুন পোর্টাল লঞ্চ করা হয়েছে। এই পোর্টালে আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। SVMCM 4.2 ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবেন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – এখানে ক্লিক করুন। আবেদন করার জন্য কাছাকাছি সাইবার ক্যাফে বা অনলাইন কাজকর্ম যেখানে হয় সেখানে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে যাওয়ার আগে কী কী নথিপত্র তৈরি রাখতে হবে?                               ১) নতুন আবেদন করার জন্য শেষ পরীক্ষার অর্থাৎ মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষার মার্কশীট সঙ্গে রাখতে হবে।
২) এডমিট কার্ড।
৩) নতুন কোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রমাণপত্র বা এডমিশন রিসিপ্ট লাগবে।
৪) আধার কার্ড।
৫) পাসপোর্ট সাইজ ফটো এবং আবেদনকারী সই স্ক্যান করতে হবে।
৬) ইনকাম সার্টিফিকেট বার করতে হবে। পঞ্চায়েত এলাকা হলে বিডিও অফিস থেকে যদি মিউনিসিপালিটি বা পৌরসভা এলাকা হয় সেক্ষেত্রে পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের সইসহ ইনকাম সার্টিফিকেট বার করতে হবে।
৭) আবেদনকারীর ইমেইল আইডি এবং ফোন নম্বর লাগবে।
৮) আবেদনকারীর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং সেই ব্যাংক একাউন্টের প্রথম পাতা স্ক্যান করতে হবে।
৯) বাংলার শিক্ষা আইডি লাগবে।
১০) রেশন কার্ড লাগবে।

১২,০০০ টাকার স্কলারশিপ পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। কিভাবে আবেদন করতে হবে?(NMMSS Scholarship)

এই স্কলারশিপের সুবিধা পান লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পথে অর্থসমস্যা যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জন্য সরকার এই স্কলারশিপ চালু করেছেন। এই স্কলারশিপটিকে বিকাশ ভবন স্কলারশিপ বলেও চিহ্নিত করা হয়।

Md Cyber Zone -এর কনটেন্ট রাইটার। একজন বিশিষ্ট ইউটিউবার। বিগত চার বছরের বেশি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত।

Share this content:
WhatsApp Group Join Now
Telegram Channel Join Now

Leave a Comment